ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাণিজ্য সম্প্রসারণে বেনাপোল বন্দরে দু’দেশের বৈঠক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৮
বাণিজ্য সম্প্রসারণে বেনাপোল বন্দরে দু’দেশের বৈঠক

বেনাপোল(যশোর): বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি, রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও পাসপোর্ট যাত্রী ভোগান্তি কমাতে করণীয় নিয়ে দু’দেশের ব্যবসায়ী, কাস্টমস, বন্দর ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৯ মার্চ) বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বেনাপোল স্থলবন্দর টার্মিনাল অডিটোরিয়ামে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে বন্দরের বিভিন্ন সমস্যা সরেজমিন ঘুরে দেখেন প্রতিনিধিরা।

বৈঠকে বাণিজ্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে চলমান সমস্যা সমাধানে করণীয় নিয়ে উভয় দেশের প্রতিনিধিরা একমত পোষণ করেন।

বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে দু’দেশের বন্দরে চলমান বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধান নিয়ে আলোচনায় বক্তব্য রাখেন ভারতের পেট্রাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার রাহুল মাহতাব, বন্দরের ম্যানেজার সুভজিত মণ্ডল, বেনাপোল কাস্টমস হাউজের ডেপুটি কমিশনার মারুফুর রহমান, চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের উপ-পরিচালক (এসআই) তরিকুল ইসলাম, চেকপোস্ট আইসিপি ক্যাম্পের সুবেদার আব্দুল ওয়াব, বেনাপোল বন্দর এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি জাবেদী বিল্লাহ, সহ-সভাপতি মনির হোসেন মজুমদার প্রমুখ।

আলোচনায় বেনাপোল বন্দরের পক্ষে বাংলাদেশি রফতানি পণ্য ভারতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিলম্বসহ নানাবিধ সমস্যা ও  পাসপোর্ট যাত্রীদের ভোগান্তির বিষয়ে জোরদার আলোকপাত হয়।  

পেট্রাপোল বন্দরের ম্যানেজার শুভজিৎ মণ্ডল বলেন, পেট্রাপোল বন্দরের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নে ৫শ’ কোটি টাকার একটি প্রজেক্ট হাতে নেওয়া হয়েছে। সেটি শেষ করতে কমপক্ষে ৫ বছর সময় লেগে যাবে। এরইমধ্যে ১৭ লাখ রুপি ব্যায়ে ইমিগ্রেশন এলাকায় যাত্রী ছাউনি করা হয়েছে। ৭০ লাখ টাকা ব্যায়ে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে যাত্রীদের আর কোনো দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। তেমনি দ্রুত বাণিজ্য সম্প্রসারণেও বড় ভূমিকা রাখবে।

পেট্রাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার রাহুল মাহতাব বাণিজ্যিক কোনো সমস্যা ও পাসপোর্ট যাত্রীদের বিষয় নিয়ে কোনো অভিযোগ থাকলে তাৎক্ষণিক তাকে জানানোর অনুরোধ করেন। এছাড়া কাস্টমস ও বিএসএফের বিষয়ে কোনো কথা থাকলে তাকে জানানোর জন্যও বলেন।  

বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম বলেন, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণে দু’দেশের বন্দর, কাস্টমসসহ সংশিষ্ট সবার আন্তরিকতার বিকল্প নেই। তিনি তার পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

জানা যায়, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় চিকিৎসা, ব্যবসা ও ভ্রমণে এ পথে দেশি-বিদেশি পাসপোর্ট যাত্রীদের যাতায়াত দেশের অন্যান্য ইমিগ্রেশনের চেয়ে একটু বেশি। এছাড়া পাশ্ববর্তী এই দেশটির সঙ্গে রয়েছে বাংলাদেশিদের আত্মীয়তার সর্ম্পক। ফলে দিন দিন এপথে যাতায়াত বাড়ছে। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার পর্যন্ত যাত্রী যাতায়াত করে থাকে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৮
এজেডএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।