ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সুদ ব্যবস্থাপনায় ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণমূলক পণ্য দরকার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৮
সুদ ব্যবস্থাপনায় ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণমূলক পণ্য দরকার বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) অডিটোরিয়ামে ‘বেনিফিটস অ্যান্ড পোটেনশিয়ালস অব ইন্টারেস্ট রেট হেইজিং: বাংলাদেশ পারেসপেক্টিভ’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: সুদ ব্যবস্থাপনার জন্য বিশ্বব্যাপী ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণমূলক বিভিন্ন ধরনের পণ্যের প্রচলন রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এরকম কোনো পণ্যের প্রচলন নেই। ফলে ব্যাংকগুলো ইচ্ছেমতো তাদের সুদের হার বাড়াচ্ছে-কমাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) অডিটোরিয়ামে ‘বেনিফিটস অ্যান্ড পোটেনশিয়ালস অব ইন্টারেস্ট রেট হেইজিং: বাংলাদেশ পারেসপেক্টিভ’ শীর্ষক কর্মশালার বক্তাদের আলোচনায় এ বিষয়টি উঠে আসে।

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্বে) ড. শাহ মো. আহসান হাবীব।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং রিফর্মস বিষয়ক উপদেষ্টা এবং সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী।

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, সুদ সংক্রান্ত ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে বাজারে কিছু পণ্য প্রচলন দরকার। তবে এ ধরনের পণ্য প্রচলনের জন্য যে পরিবেশ দরকার তা এখনও বাংলাদেশে নেই। এ প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সুদহার নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশেষ কিছু পণ্যে প্রচলনের অনুমতি দিতে হবে।

ড.আহসান হাবীব আরও বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় এই মুহূর্তে নির্দিষ্ট কয়েকটি ব্যাংকে সুদ ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য বৈদেশিক মুদ্রায় কিছু পণ্য ব্যবহারের অনুমোদন দিতে হবে। তবে দেশে সার্বিকভাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এ ধরনের পণ্য প্রচলন করার মতো পরিবেশ তৈরি হয়নি। ভবিষ্যতে এসব পণ্য প্রচলনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এস কে সুর চৌধুরী বলেন, বর্তমানে ব্যাংকিং খাত বেশকিছু ঝুঁকি মোকাবেলা করছে। এসব ঝুঁকি ব্যবস্থাপা ব্যাংকগুলোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ পরিস্থিতিতে ব্যাংকিং খাতের অবকাঠামো ঠিক করার মাধ্যমে সুদসীমা নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন বিআইবিএমের প্রফেসর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ- খোদা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আলী হোসেন প্রধানিয়া, ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক মাঈনুদ্দিন আহমেদ, পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিআইবিএমের অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমের অধ্যাপক ইয়াছিন আলি, বিআইবিএমের অনুষদ সদস্য সৈয়দ মুহাম্মদ বারিকুল্লাহ প্রমুখ।

কর্মশালায় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আলী হোসেন প্রধানিয়া বলেন, বাংলাদেশেও সুদ নিয়ন্ত্রণে কিছু কার্যকরী পণ্য প্রচলনের সময় এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমের অধ্যাপক ইয়াছিন আলি বলেন, সুদসীমা নিয়ন্ত্রণের আগে খেলাপি ঋণ কমাতে হবে। ঋণের পুরো টাকাই যেখানে ফেরত আসে না সেখানে সুদসীমা অনেক পরের বিষয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৮
এসই/এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।