এ কথা বলেছেন বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান। বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) বাংলাদেশ পেপার মিলস, এক্সপো কনফারেন্স ও অনন্ত ইভেন্ট অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্টের যৌথ আয়োজনে ‘তৃতীয় পেপার টেক এক্সপো ২০১৮’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।
সাফওয়ান সোবহান বলেন, ধীরে ধীরে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে। তারই প্রমাণ আজকের আমাদের এই কাগজ শিল্প ও আন্তর্জাতিক এই প্রদর্শনীর আয়োজন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ কাগজ শিল্পকে অন্যতম শক্তি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
এছাড়া প্রদর্শনীটিতে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত সব কোম্পানি ও আয়োজক কমিটিকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে। কাগজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পণ্য ও কাগজ তৈরির ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক সব মেশিন, কাগজ তৈরির মন্ড, কাগজ পণ্য, প্যাকেজিং ও মুদ্রণের দেশি-বিদেশি কোম্পানির সমারোহ রয়েছে এ প্রদর্শনীতে।
এবার মোট ১৫০টি স্টলে আটটি দেশের বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ভারত, চীন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, কোরিয়া ও মিশর।
এক্সপো’র সমন্বয়কারী সৈয়দ মাহবুবুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, দেশে কাগজের ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত সব প্রস্তুতকারক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বিশ্বের উন্নতমানের কাগজ, কাগজজাত পণ্য ও যন্ত্রপাতিসহ সংশ্লিষ্ট সব কিছুর সেতুবন্ধন সৃষ্টি করাই এ প্রদর্শনীর মূল লক্ষ্য। এটা আমাদের তৃতীয় আয়োজন।
প্রদর্শনীতে আসা রাজধানীর ফকিরাপুলের সিফাত প্রিন্টিং প্রেসের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন কাগজ শিল্পে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ। আমরা ভালো মানের রাসায়নিক পদার্থ খুব কম পাই। আমি এগুলোর খোঁজেই এ মেলার সন্ধান পেয়ে এসেছি। এখানে এসে আরও উন্নতমানের প্রিন্টিং, কাটারসহ বিভিন্ন রকম যন্ত্রপাতি দেখছি এবং নতুন সব কাগজে সঙ্গে পরিচিত হচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৮
এমএএম/এইচএ/