ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

উৎসে কর মওকুফের দাবি বিজিএমইএ’র

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৮
উৎসে কর মওকুফের দাবি বিজিএমইএ’র এনবিআর সম্মেলন কক্ষে প্রাক বাজেট আলোচনা

ঢাকা: আগামী তিন বছরে গার্মেন্ট পণ্য রফতানিতে উৎসে কর সম্পূর্ণ মওকুফের প্রস্তাব করেছে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। একই সঙ্গে কর্পোরেট কর ১০ শতাংশ হারে নির্ধারণসহ মোট ১১ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুন বাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক বাজেট আলোচনায় এ প্রস্তাব তুলে ধরেন বিজিএমইএ’র সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান।

এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় এনবিআর’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও নিট পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ) এবং বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, পোশাক খাতে ৩০ বিলিয়ন ডলার রফতানিতে উৎসে কর আসে ২ থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা। এই সোর্স ট্যাক্স (উৎসে কর) বাতিল করে দিন। পোশাকসহ সব খাতে করপোরেট কর ১০ শতাংশ করে দিন। পাশাপাশি এনবিআরের অডিট ব্যবস্থা অনলাইন ভিত্তিক করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

এনবিআরকে দেওয়া লিখিত প্রস্তাবে বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে উৎসে কর শূন্য শতাংশে নামিয়ে আনা, স্থায়ীভাবে উৎপাদিত রফতানি সংশ্লিষ্ট পণ্য ও ল্যাবরেটরি টেস্ট চার্জ, কনসালটেন্সি চার্জসহ ৩৯টি সেবা পণ্যের ক্ষেত্রে ভ্যাট মওকুফসহ রিটার্ন দাখিল করা হতে অব্যাহতি প্রদান করা, আগামী বাজেটে সংগঠনটি প্রাতিষ্ঠানিক বা করপোরেট কর ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার দাবি জানানো হয়েছে।

এছাড়া উৎসে কর কর্তনকে সর্বনিম্ন কর বিবেচনা না করে আগের মতো চূড়ান্ত কর দায় হিসেবে গণ্য করা, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির বিলে মূসক অব্যাহতি, এলইডি (লাইট এমিটিং ডায়োড) বাতি আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়া, ফায়ার ফাইটিং পাম্প ও স্প্রিং কলারসহ অগ্নিনিরাপত্তার সব যন্ত্রপাতি শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানির করার প্রস্তাব দিয়েছে বিজিএমইএ।

রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের অডিট কার‌্যক্রমের জন্য দলিলাদি দাখিলের সময়সীমা ৩ মাসের পরিবর্তে ৬ মাসের বিধান রাখা। অপরদিকে প্রতিযোগি দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা, কর্মসংস্থান, রফতানি ও জাতীয় স্বার্থে পোশাক শিল্পের সক্ষমতা ধরে রাখা ও এর সুরক্ষার জন্য রফতানি বিলের ওপর শূন্য দশমিক ২ শতাংশ হারে স্ট্যাম্প শুল্ক কর্তন করা হতে তৈরি পোশাক শিল্পকে অব্যাহতি প্রদান করা।

এছাড়াও তৈরি পোশাক শিল্পের নিরাপত্তা জনিত কার্যক্রমে ব্যবহৃত সকল উপকরণ সিসি ক্যামেরা ও তার যন্ত্রাংশ, আর্চওয়ে ইত্যাদি আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়া।

এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, দেশি পণ্য বিদেশে রফতানির ক্ষেত্রে সবাইকে সমান সুযোগ দেওয়া হবে। সবার এক্সপোর্ট গ্রো করতে হবে। তা না হলে উন্নয়নশীল দেশে যাওয়া সম্ভব হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৮
এমএফআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।