ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘এসিআই’ আগামীর সম্ভাবনার দ্বার

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৮
‘এসিআই’ আগামীর সম্ভাবনার দ্বার এসিআই-এর লোগো।

ঢাকা: স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালে যাত্রা শুরু করে ইম্পেরিয়াল কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ (আইসিআই) বাংলাদেশ ম্যানুফেকচারিং যা ১৯৯২ সালে মালিকানা পরিবর্তনের মাধ্যমে আজকের এসিআই বা অ্যাডভান্সড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ।

২০১৮ সালে এসিআই ২৫ বছরে পদার্পণ করেছে। এ উপলক্ষে হোটেল রেডিসন ব্লু-তে এক জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় কিছু তরুণ তরুণীর হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেয় প্রতিষ্ঠানটি।

প্রায় সাড়ে আট হাজার কর্মীর অক্লান্ত পরিশ্রম এবং ১৫টি সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কয়েক হাজার পণ্য দেশে ও বিদেশে সরবরাহ করে এসিআই।

মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসিআই-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এম আনিস উদ্ দৌলা তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির ২৫ বছরের পথ চলার গল্প।

তিনি বলেন, ক্রেতার সন্তুষ্টি অর্জন করতে পণ্যের গুনগত মান ঠিক রাখা অত্যাবশ্যকীয়। ২৫ বছরে এই নীতি ধরে রেখেই এসিআই-এর পথচলা। পণ্যের মানরক্ষা ও পরিবেশ সুরক্ষিত রাখা এ দুটো দিকেই আমরা সর্বোচ্চ খেয়াল রেখেছি।

‘বিগত ১০ বছরে আমাদের ২৫-৩০ শতাংশ করে ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আমরা আশা করি ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকব। একমাত্র বেসরকারি খাতের মাধ্যমেই দেশের উন্নতি সম্ভব হয় ও কর্মসংস্থান তৈরি হয়। আমরাই অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। ভোক্তারা বিশ্বাস করেন পণ্যের মানের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয় না এসিআই। তাই আমাদের যেকোনো পণ্য বাজারে এলে ভালো ব্যবসা করে। মানুষের আস্থা এসিআই-কে আজকের এই পর্যায়ে আসতে অনুপ্ররেণা যুগিয়েছে’।

আমি বিশ্বাস করি কোম্পানি চালায় মানুষ, কোম্পানির নীতি ধরে রাখে কর্মীরা। সেই কর্মীদের কাজের সঠিক মূল্যায়ন করার মধ্য দিয়েই উন্নতি সম্ভব। এসিআই প্রথমে শুধু ওষুধ উৎপাদন করলেও বর্তমানে কৃষিপণ্য, ভোগ্যপণ্য, সুপারশপ, মোটরসাইকেল ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন করছে। ভবিষ্যতে এসিআই আন্তর্জাতিক মানের ব্যথানাশক ঔষধ উৎপাদনে কাজ করবে।  

‘এসিআই-এর ‘স্বপ্ন’ সুপারশপের মূল উদ্দেশ্যই ভোগ্যপণ্যসমূহ চাহিদামত ক্রেতা সাধারণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। স্বপ্নের মাধ্যমেই কৃষক ন্যায্য মূল্য পাবেন আর ক্রেতারা পাবেন ভালো পণ্য।

বর্তমানে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রতিবন্ধকতা দেখা যাচ্ছে, দেশে গ্যাস ও বিদ্যুতের অপ্রতুলতা, তারল্য সংকট। অসহনীয় পর্যায়ে যানজটের কারণে প্রচুর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আমাদের পুঁজিবাজারে দুর্নীতি হয়, তাই পুঁজিবাজারের ওপর থেকে মানুষ আস্থা হারাচ্ছেন। ফলে শিল্প উদ্যোক্তারা ব্যাংক নির্ভর হয়ে যাচ্ছেন। তবে দীর্ঘমেয়াদী মূলধনের জন্য পুঁজিবাজার ভালো। পুঁজিবাজার যদি ঠিক না হয় তাহলে শিল্প খাত মূলধনের অভাবে পড়বে। তাই সরকারের উচিত পুঁজিবাজারের প্রতি বিশেষ তদারকি করা ও পুঁজিবাজারকে বিশ্বস্তখাত হিসেবে গড়ে তোলা’।

তিনি আরও বলেন, আমরা ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ চাই, যেখানে গ্যাসের অভাব হবে না, তিন গুন দামে বিদ্যুৎ কিনতে হবে না। যানজটের অবসান চাই, নির্লিপ্ততা চাই না। দেশের তরুণেরাই পারে দেশটাকে সঠিক পথে এগিয়ে নিতে। সেইজন্য চাই কারিগরি শিক্ষা। যার যে কাজ ভালো লাগে তার সেই কাজই করা উচিত।

‘তরুণ উদ্যোক্তারা সাধারণত নতুন নতুন কাজে যুক্ত হয়ে থাকেন। তাদের নিজ নিজ কাজে লেগে থাকা উচিত, তবেই সফলতা আসবে। একটু খারাপ পরিস্থিতিতে পড়লেই হতাশ হয়ে কাজ ছেড়ে দেয়া উচিত নয়। এসিআই-এর মূল লক্ষ্যই হলো উন্নত বাংলাদেশ গঠনে ও দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করায় অবদান রাখা’।

বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৮
এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।