ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নৌ মন্ত্রণালয় এখন সুগন্ধ ছড়াচ্ছে: শাজাহান খান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৮
নৌ মন্ত্রণালয় এখন সুগন্ধ ছড়াচ্ছে: শাজাহান খান সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: নাম গন্ধহীন নৌ মন্ত্রণালয় এখন সুগন্ধ ছড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণায়ের অধীনে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ।

রোববার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) আয়োজিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমদ। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার আদর্শ সোয়াইকা।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার মো. তারেক করিম, আইবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট সোয়েব চৌধুরী ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারতের সঙ্গে আমদানি-রফতানির কার‌্যক্রমকে আরো সহজ ও গতিশীল করতে নতুন করে ১০টি স্থলবন্দর চালু করেছে। কয়েকটি স্থলবন্দর চালুর ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া উন্নয়নের কাজ চলছে ১২টি স্থলবন্দরের।

তিনি বলেন, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে স্থলবন্দর দিয়ে মোট ৪৩ দশমিক ২৬ লাখ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি-রফতানি করা হয়েছিলো। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫৫ দশমিক ১৯ লাখ মেট্রিক টনে।

২০০৮-০৯ অর্থবছরে স্থলবন্দরে মোট আয় হয়েছিলো ২৬ দশমিক ৭৪ কোটি টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১১ দশমকি ৪৭ কোটি টাকায়। শুধু তাই নয়, স্থলবন্দরে ভালো সেবা দেওয়ায় সম্প্রতি বাংলাদেশ স্থলবন্দরকে ‘সার্টিফিকেট অব মেরটি সনদ’ দিয়েছে ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন (ডব্লিউসিও)।

এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, স্থলবন্দরের পাশাপাশি নৌ-বন্দরের আমদানি-রফতানি আরো সহজ করা হয়েছে। এছাড়া আমদানি-রফতানি বাড়ানোসহ যাত্রীদের ‍সুবিধার্থে বেনাপোল স্থলবন্দরে একটি আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার ও বাস টার্মিনাল করা হয়েছে।

তিনি বলেন, পণ্য আমদানি-রফতানির মতোই নৌপথে প্যাসেঞ্জার আনা-নেওয়ার বিষয়টি দেখা হচ্ছে। দু’দেশের মধ্যে এ নিয়ে চুক্তি হলেই সমস্যা সমাধান হবে। এছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্র (এসডিজি) অর্জনের জন্য সব স্থলবন্দরের অবকাঠামো নিমার্ণ ও আধুনিকায়ণের জন্য কাজ করছে সরকার।

সভাপতির বক্তব্য আবদুল মাতলুব আহমদ বলেন, আমদানি-রফতানির ৯০ শতাংশের হয় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে। তাই বেনাপোলের মতো সবগুলো স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি আরো সহজতর করা জরুরি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৮
এমএফআই/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।