ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বহুজাতিক কোম্পানি হচ্ছে ডিএসই

মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩১ ঘণ্টা, মে ৫, ২০১৮
বহুজাতিক কোম্পানি হচ্ছে ডিএসই

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জর (ডিএসই) কৌশলগত বিনিয়োগকারী হচ্ছে চীনা দুই পুঁজিবাজার শেনঝেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ। আগামী ১৪ মে বিকেলে রাজধানীর লা মেরেডিয়ানে ডিএসই ও চীনা দুই স্টক এক্সচেঞ্জের মধ্যে শেয়ার বিক্রির চুক্তি স্বাক্ষর হবে।

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান উপস্থিত থাকবেন।

ডিএসই সূত্র জানায়, এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে ডিএসইর ২৫০ জন শেয়ারহোল্ডার প্রত্যক্ষভাবে ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা করে মোট ৯৪৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৬ হাজার ৬২৫ টাকা পাবেন।

পাশাপাশি ডিএসইর কারিগরি সহায়তা বাবদ পাবেন ৩৭ মিলিয়ন ডলার (টাকার অংকে ৩০০ কোটির বেশি)।

পরোক্ষভাবে ডিএসই ভালো একটি পার্টনার পাচ্ছে। বহুজাতিক কোম্পানিতে রূপান্তরিত হচ্ছে। এছাড়াও দেশীয় এই পুঁজিবাজারের প্রতি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে। নতুন নতুন দেশি-বিদেশি কোম্পানি দেশে বিনিয়োগ করতে আসবে। পুঁজিবাজারেও তালিকাভুক্ত হবে বলে জানায় ডিএসই।

এসব কারণে ভবিষতে ডিএসই এশিয়ার মধ্যে ‘বিজনেস হাব’-এ পরিণত হবে বলে মনে করেন ডিএসইর সাবেক সভাপতি ও পরিচালক শাকিল রিজভী।

বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বিশ্ব বিখ্যাত চীনা দুই পুঁজিবাজার ডিএসইর স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হলে বহুমাত্রিক সুযোগ সুবিধা আসবে। বড় বড় বিজনেস আইকন বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আসবে। শেয়ার কেনাবেচার পাশাপাপাশি শক্তিশ‍ালী বিজনেস প্লাটফর্ম হিসেবে গড়ে উঠবে। ডিএসই ব্যবসায়িক হাবে পরিণত হবে।

গত বৃহস্পতিবার (০৩ মে) চীনা কনসোর্টিয়ামকে ডিএসই’র কৌশলগত বিনিয়োগকারীর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

এই চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এর আগে সোমবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটায় চীনা কনসোর্টিয়ামকে অনুমোদন দেয় ডিএসই’র শেয়ারহোল্ডাররা। তারপর ওইদিন বিকেলে অনুমোদনের জন্য বিএসইসিতে প্রস্তাব জমা দেয় ডিএসই’র পরিচালনা পর্ষদ। তারপর বিএসইসি’র ৬৪৩তম কমিশন সভায় চীনা কনসোর্টিয়ামকে অনুমোদন দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে ডিএসইর পরিচালক শরীফ আতাউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, চীনা কনসোর্টিয়ামকে অনুমোদন দেওয়া পুঁজিবাজারের জন্য ঐতিহাসিক ঘটনা। আশা করছি এর ফলে পুঁজিবাজারের চেহারা পাল্টে যাবে।

এদিকে চীনা কনসোর্টিয়ামের ইস্যুকে কেন্দ্র করে চলা দরপতনের অবসান হবে বলে মনে করেন বিনিয়োগকারীরা। বিনিয়োকারী নেতা আতাউল্লাহ নাঈম বাংলানিউজকে বলেন, ভারত-চীনা কনসোর্টিয়াম নিয়ে ডিএসই ও বিএসইসি’র দ্বন্দ্বের অবসান হবে। পুঁজিবাজার চাঙ্গা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৮
এমএফআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।