ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পায়রা বন্দরের কাজ শেষ হবে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০১ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৮
পায়রা বন্দরের কাজ শেষ হবে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে

ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, পায়রা বন্দরের নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে কথা থাকলেও শেষ হচ্ছে না।

শনিবার (১২ মে ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রে প্রাক বাজেট আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
 
মুহিত বলেন, পায়রা সম্বন্ধে যদিও বলা হয়েছে এই ২০১৮ অর্থবছরে শেষ হবে।

এটা সম্ভবত ১৮ অর্থবছরে শেষ হবে না। আমার হিসাবে এটা ২০২০ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে। তবে বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্পে একটি সুবিধা আছে। কাজ শুরুর পরে সময় অনেক কম লাগে। যমুনা সেতুর ক্ষেত্রে এ রকম হয়েছে। পায়রা ও রেলওয়ের ক্ষেত্রে এটা হবে। রেলের অবস্থা খুবই খারাপ।  
 
প্রত্যেক বছরই উন্নয়নের কিছু প্রচেষ্টা হয়। কিছু উন্নতি হয়তো হয়। বাস্তবায়নে ধীরগতি একটি বাস্তব সমস্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা আগের চেয়ে কমে আসছে। বাস্তবায়ন আগে ৮২ শতাংশ পর্যন্ত ছিল। এখন ৯৩ থেকে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে।
 
প্রকল্পের গুণগত মান নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ আছে। আমরা কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। আরও হয়তো চিন্তা করা যায়। যেমন এখন সড়ক নির্মাণে ঠিকাদের সঙ্গে চুক্তি হয়। নির্মাণের তিন বছর পর্যন্ত তারা তদারকি করবে। সমস্যা হলে ঠিক করে দিবে। এভাবে কাজের গুণগত মান উন্নয়ন করা হচ্ছে।
 
অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে দুই স্তরের ভ্যাট ব্যবস্থা কার্যকরের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। করপোরেট করের হার কমানোর বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে।
 
তিনি বলেন, দেশে তরুণ করদাতার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক একটি বিষয়।

মুহিত বলেন, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথিউরিটি (বিডা) ‘ওয়ান স্টপ’ সার্ভিস চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যার মাধ্যমে বিনিয়োগ প্রস্তাব জামা দেওয়ার ৭ মাসের মধ্যে বিনিয়োগ সহায়তা দেওয়‍া যাবে।
 
তিনি বলেন, সঞ্চয়পত্রের সুদের হারের বিষয়টি আগামী বাজেট ঘোষণার পর পর্যালোচনা করা হবে।

অর্থমন্ত্রী দেশের বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে সুষম প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘কমপিটিশন অ্যাক্ট’ জরুরি বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। ২৬টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার পুঁজিবাজারে না আসতে পারার বিষয়টি অত্যন্ত হতাশার বিষয় বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।            
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৮, আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা
এসই/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।