ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ঈদের আগেই মসলার বাজার চড়া

ইয়াসির আরাফাত রিপন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩২ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৮
ঈদের আগেই মসলার বাজার চড়া সাজিয়ে রাখা দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ ও গোলমরিচসহ অন্য মসলা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: কোরবানির ঈদ আসতে এখনও এক মাস বাকি। কিন্তু এরই মধ্যে রাজধানীতে হঠাৎ করেই মসলাজাতীয় পণ্যের বাজার চড়া। মসলাভেদে প্রতিকেজিতে দাম বেড়েছে ৫ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। এনিয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

শুক্রবার (২০ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

রাজধানীর শান্তিনগর ও হাতিরপুল বাজারে প্রতিকেজি এলাচ বিক্রি করতে দেখা যায় ১৮৫০ টাকা থেকে ১৯০০ টাকায়।

অথচ এক আগেও প্রতিকেজি এলাচ ১৫৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজি দরে যা গত সপ্তাহে ছিল ২১০ টাকা। জিরা টার্কি ৪১০ ও ইন্ডিয়ান জিরা ৩১০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। টার্কি জিরা গতসপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৩৫০ টাকায়, ইন্ডিয়ান জিরা বিক্রি হয়েছে ২৮০ টাকায়। সাজিয়ে রাখা পেঁয়াজ ও রসুন।  ছবি: বাংলানিউজশুক্রবার আদা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায় যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ টাকা থেকে ১১০ টাকা, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে এটি গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকা কেজি দরে, রসুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা থেকে ১১০ টাকায় অথচ গত সপ্তাহে এটি বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকা থেকে ৯০ টাকার মধ্যে।

মো. সুজন নামে এক ক্রেতা ক্ষোভের সঙ্গে বাংলানিউজকে বলেন, এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিটি মসলার দাম বেড়ে গেছে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এখন থেকেই বিক্রেতারা দাম বাড়াচ্ছেন। এই দাম ঈদের পরেও থাকবে।

তিনি আরও বলেন, নিয়মিত বাজার তদারকি করা হলে বিক্রেতারা তাদের ইচ্ছামতো এভাবে দাম বাড়াতে পারতেন না। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে এভাবে দাম বাড়ছে।

বিক্রেতা জাকির হোসেন বলেন, পাইকারি বাজারে মসলার দাম বেড়েছে। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা বেশি দামে এনে বেশি দামে বিক্রি করছি।

শান্তিনগরের অপর বিক্রেতা আবুল বাশার বলেন, রোজার ঈদের পর একবার পণ্য এসেছে। এরপর থেকে আর কোনো পণ্য বাজারে আসেনি এজন্য দাম বাড়তি। তবে পাইকারি বাজার থেকে এখানে নিয়মিত মাল এলে দাম কমে যাবে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে গরম মসলা বিক্রেতা সমিতির সভাপতি হাজী মো. এনায়েতউল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের পাইকারি বাজারে মসলার দাম বাড়েনি। খুচরা বাজারে দাম বেশি হচ্ছে কিনা আমার জানা নেই। তবে কয়েকটি পণ্যে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে, সেখানে ৩০০ টাকা বেশি নেওয়া অযৌক্তিক।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৮
ইএআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।