ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চামড়া কেনা শেষ, ট্যানারির অপেক্ষায় আড়তদাররা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৮
চামড়া কেনা শেষ, ট্যানারির অপেক্ষায় আড়তদাররা পশুর চামড়া। ছবি: শাকিল

পোস্তা (লালবাগ) থেকে: ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী শুক্রবারই (২৪ আগস্ট) কোরবানির শেষ দিন। তাই শেষ দিনেও দুই এক জায়গায় পশু কোরবানি দিতে দেখা গেছে। আর পশু কোরবানির সঙ্গে সঙ্গে সেই চামড়া চলে যাচ্ছে চামড়ার পাইকারি বাজার লালবাগের পোস্তায়। তবে গত দু’দিনের তুলনায় শুক্রবার পোস্তার বাজার ছিল নিষ্প্রাণ। কেননা এখন আর কেউ চামড়া নিয়ে বসে নেই, যে দুই-একটি চামড়া আসছে তা মান দেখে দাম দিচ্ছেন আড়তদাররা।

বলা যায়, চামড়া কেনা শেষ। এখন ট্যানারিতে পাঠানোর পালা।

আড়তদাররা চামড়া নিয়ে গুদাম বোঝাই করে রেখেছেন। চামড়ায় লবণ মাখানোও শেষ, এখন শুধু ট্যানারি মালিকদের অপেক্ষা।

গত দু’দিনে পোস্তার বাজারে লক্ষাধিক পশুর চামড়া কেনাবেচা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। পোস্তার শতাধিক আড়তদার বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা চামড়া কিনে গুদাম বোঝাই করেছেন। এবার দাম কম হওয়ায় ঝুঁকির শঙ্কায় আড়তদাররাও।

গত দশ বছরে এবারের মতো এতো মন্দা বাজার দেখেননি আড়তদাররাও। এবার চামড়া সংগ্রহ বেশি হলেও দাম ছিল তলানিতে। পোস্তার আড়তদার শামসুদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আমি ৩০ বছর ধরে চামড়ার ব্যবসা করি। এবারের মতো দরপতন কোনোদিনও দেখিনি। এবার চামড়া কম দামে কিনেও ঝুঁকিতে আছি। এখনো কোনো ট্যানারি যোগাযোগ করেনি। আশা করছি, আগামী রোববার (২৬ আগস্ট) থেকে চামড়া নেয়া শুরু করবে ট্যানারি মালিকরা।

শামসুদ্দিন এবার তার গুদামে ২ হাজার ৫০০ পিস চামড়া সংগ্রহ করেছেন। মান ভেদে ৬০০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত দরে চামড়া কিনেছেন। আর চামড়া প্রতি তার খরচ হয়েছে ২৫০ টাকা। এ খরচের মধ্যে রয়েছে লবণ মাখানো, গাড়িতে করে চামড়া আনা ও লবণ খরচ। সরকার নির্ধারিত ৪০ টাকা ফুট বিক্রি করতে পারলে লাভবান হবেন আড়তদাররা।

আড়তদার আজগর আলী বাংলানিউজকে বলেন, অহন মাল কেনার নাই, কেনা শেষ। অহন ট্যানারিতে সাপ্লাই দেওয়া বাকি। রোববার থেকে ট্যানারি মাল টানা শুরু করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৮
এসএম/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।