ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রোহিঙ্গা সংকট: বিশ্বব্যাংকের ‘মাল্টি-সেক্টর প্রকল্প’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৮
রোহিঙ্গা সংকট: বিশ্বব্যাংকের ‘মাল্টি-সেক্টর প্রকল্প’ সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দল

ঢাকা: রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ‘মাল্টি-সেক্টর প্রকল্প’ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থার একটি প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করে এ আগ্রহের কথা জানিয়েছে। 

বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি কিমিআও ফ্যান এর নেতৃত্বে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রান্ট ফর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্সের পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদল মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।

সাক্ষাৎকালে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির জন্য একটি ‘মাল্টি-সেক্টর প্রকল্প’ নেওয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।



জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ‘মাল্টি-সেক্টর প্রকল্প’ (ইর্মাজেন্সি মাল্টি-সেক্টর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেন্সপন্স প্রোজেক্ট) গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা হয়।
 
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর কর্তৃক বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চলতি বছরের নভেম্বর হতে ২০২১ সালের অক্টোবর মেয়াদে প্রণীত প্রকল্প অংশের মোট ব্যয় হবে প্রায় ২৭৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এ প্রকল্প অংশে বিশ্বব্যাংক ৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
 
মন্ত্রণালয় জানায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কক্সবাজারের উখিয়া এবং টেকনাফ উপজেলার ৩২টি ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির জন্য পাইপড এবং নন-পাইপড পানির উৎসের মাধ্যমে নিরাপদ ও সুপেয় পানি সরবরাহ করা যাবে। পাশাপাশি এ ক্যাম্পসমূহে ফিক্যাল স্ল্যাজ ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান এবং প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৮
এমআইএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।