ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দাম বেড়ে স্থিতিশীল সবজি-মাছ বাজার, স্বস্তি মাংসে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৮
দাম বেড়ে স্থিতিশীল সবজি-মাছ বাজার, স্বস্তি মাংসে সবজি বাজার-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: ঈদের পর থেকেই দাম বেড়ে চলেছে সবজির। বাজার দরের ঊর্ধ্বগতিতে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে মাছ ও মসলা। ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের মতে, প্রতি সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতে দামের খাতায় যুক্ত হয়েছে ২ থেকে ৫ টাকা আবার কখনও ২০ থেকে ৩০ টাকা অতিরিক্ত দাম। অন্যদিকে চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম স্থিতীশীল থাকলেও কমেছে মাংসের দাম। 

কাঁচা বাজার ব্যবসায়ীদের মতে, বাজারের এই পরিস্থিতির কারণ হলো কোরবানির ঈদ। এই ঈদের প্রভাবটা এরকম থাকে ও আরও এক সপ্তাহ সবজির চাহিদা বেশি থাকায় দাম বাড়তে পারে।

 

শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মতিঝিল, শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচা এলাকার বাজার ঘুরে এ তথ্য মিলেছে। তবে কারওয়ান বাজারে বা পাইকারি বাজারগুলোতে দাম কিছুটা কম বলে জানা গেছে।  

খুচরা কাঁচাবাজার অনুসারে, প্রতি কেজি পটল ৪০ থেকে ৪৫, শসা ৫০ থেকে ৬০, চিচিঙ্গা ৫০, ঢেঁড়শ ৩০ থেকে ৪০, করলা ৪৫ থেকে ৫০, উস্তে ৫০ থেকে ৬০, বরবটি ৬০ থেকে ৭০, টমেটো ৯০ থেকে ১০০, গাজর ৮০ থেকে ১০০, আদা ১৪০ থেকে ১৫০, পেঁয়াজ (দেশি) ৬০, পেঁয়াজ (ইন্ডিয়ান) ৩৫, রসুন (দেশি) ৭০ ও রসুন (ইন্ডিয়ান) ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৫০ থেকে ৬০, বাঁধাকপি ৫০ থেকে ৬০ ও ফুলকপি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।  

বেড়েছে মাছের দামগত সপ্তাহে বাজারে এসব সবজির দাম প্রতি কেজিতে ২ থেকে ৫ টাকা কম ছিল বলে জানা গেছে। আবার কেজি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে মসলার। যার মধ্যে আদা উল্লেখ্যোগ্য।  

এদিকে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১০৮ টাকায় ও মসুর ডাল ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চাল নাজিরশাইল ৭০, মিনিকেট ৬০, বিআর-২৯ ৫০, বিআর-২৮ ৫০ টাকা ও মোটা চাল ৪৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চাহিদা তুলনামূলক কম থাকায় মাংসের দাম কমে স্থিতিশীল রয়েছে। দামের দিক থেকে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০, দেশি মুরগি ২৪০ থেকে ২৫০, গরুর মাংস ৪৮০ থেকে ৫০০, খাসির মাংস ৭৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে চাহিদা বেশি থাকায় মাছের দাম অনবরত উঠানামার মধ্যে আছে বলে জানা গেছে। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় ৫ থেকে ১০ টাকা প্রতি কেজি মাছের দাম বেড়েছে। এছাড়া বাজারে মাছের চালান অনেক কম বলে জানিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা।

খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মাছের দাম ইলিশ (বড়) ১৬০০, ইলিশ (মাঝারি) ১৪০০, রুই ও কাতল ২০০, পাঙ্গাস ১২০, কই ৪০০, কার্প জাতীয় মাছ ২০০, বোয়াল ৪০০, তেলাপিয়া ১৫০, পাবদা ৪০০, চিংড়ি (বড়) ৬০০, চিংড়ি (ছোট) ৫০০ ও গুঁড়া মাছ ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার এলাকায় বাজার করতে আসা সরকারি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণহীন। বাজারে সবজি ও মাছের ভিন্নতা কম। প্রায় পচা সবজি ও পচা মাছ পাওয়া যায়। কিন্তু দাম বেড়েই চলেছে। কারওয়ান বাজারে গেলে কিছুটা কম দাম পাওয়া যায়। তবে অত দূরে তো সব সময় বাজার করতে যাওয়া হয় না। ব্যবসায়ীদের কাছে আমরা এক প্রকার জিম্মি। এটা দেখার কেউ নাই।

খুচরা বিক্রেতাদের সূত্রে জানা গেছে, বাজারে পাইকারি পণ্যের চালান খুব কম। দাম বাড়লে ওখান থেকেই বাড়ে। এ বিষয়ে আমাদের কোনো হাত নেই। আমাদের লাভ সব সময় সমান থাকে, দাম বাড়ুক আর কমুক। তবে এখন দাম আর এক সপ্তাহ পর কিছুটা কমবে। বাজারে কোরবানি ঈদের প্রভাব এখনও শেষ হয়নি।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৮
এমএএম/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।