ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

শ্রমিকের বেতন যতটুকু বাড়বে ততটুকুই সুবিধা চায় মালিক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮
শ্রমিকের বেতন যতটুকু বাড়বে ততটুকুই সুবিধা চায় মালিক বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র জরুরি সাধারণ সভায় অতিথিরা। ছবি: শাকিল

ঢাকা: দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকের বেতন যতটুকু বাড়বে, সরকারের কাছ থেকে ততটুকুই সুবিধা দাবি করেছেন বিজিএমইএর সাবেক ও বর্তমান এফবিসিসিআই’র সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন।

তিনি বলেন, বেতন বাড়াবো, ট্যাক্স কমান। না হলে ইনসেনটিভের ব্যবস্থা করেন।

আমরা প্রতি পাঁচ বছর পর পর বেতন নিয়ে আলোচনা করতে চাই না। প্রয়োজনে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে শ্রমিকের বেতন বাড়াতে চাই।

রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বিজিএমইএ ভবনের নুরুল কাদের অডিটরিয়ামে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র যৌথ উদ্যোগে জরুরি সাধারণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এফবিসিসিআই সভাপতি বিজিএমইএ সভাপতিকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, সরকারের সঙ্গে আমাদের নেগোসিয়েশন করতে হবে। আমাদের বর্তমান অবস্থা বেশি ভালো না। এনবিআর ও অথমন্ত্রীর কাছে মাথা উঁচু করে বলতে হবে, সমস্যার পরও আমরা শ্রমিকের বেতন বাড়াতে চাই। এজন্য আমাদের ট্যাক্স কমাতে হবে, প্রনোদনা দিতে হবে।

তিনি বলেন, ইউএসএ মাল ডেলিভারি দেওয়ার পর টাকা পাই না। এসব সমস্যা বোদ্ধাদের চোখে পড়ে না। আমাদের সঙ্গে চীন, ভিয়েতনামের তুলনা করা চলে। অথচ এক রানা-প্লাজার ঘটনায় ১২০০ কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। বায়াররা পর্যাপ্ত টাকা দেয় না, ক্রেতারা পণ্যের দাম বাড়ায় না। এগুলো কি সমস্যা না? মনে রাখতে হবে, আমাদের শ্রমিকের ব্যথা আমাদের চেয়ে যারা বেশি দেখায় তারা ষড়যন্ত্রকারী।

বিজিএমইএ'র সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকের দরদ দেখায় টকশোবিদরা। মনে হয়, মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি। প্রতিনিয়ত বায়াররা আমাদের টাকা কম দিচ্ছেন। এতে মালিকের প্রেসার বেড়ে যায়, ব্যাংকগুলোর ঝামেলাতো আছেই। আবার দেশে পণ্য রফতানির জন্য পদে পদে টাকা দিতে হয়। সেই টাকা না দিতে হলে শ্রমিকের বেতন আরও বেশি দিতে পারতাম। মনে রাখবেন, বেঁচে থাকার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করছি। ভারতে আরএমজি শিল্প বাঁচাতে ৬ হাজার কোটি রুপি দেওয়া হয়েছে। আমাদের এখানে সে ধরণের কোনো সহযোগিতা নেই। দেশের মুদ্রার অবস্থা ভালো না। আবার অ্যালায়েন্স এক কথা বললেও অ্যাকড বলে অন্য কথা। আমরা ভালো অবস্থানে নেই।

বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ'র সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্যা টিপু মুন্সি, বিকিএমইএ সভাপতি ও সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানসহ বিজিএমইএ ও বিকিএমইএ নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৮
ইএআর/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।