ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ধর্মঘটে পেট্রাপোল বন্দরে আটকা পড়েছে ২ হাজার ট্রাক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৮
ধর্মঘটে পেট্রাপোল বন্দরে আটকা পড়েছে ২ হাজার ট্রাক পেট্রাপোল বন্দরে আটকা পড়েছে প্রায় ২ হাজার ট্রাক

বেনাপোল (যশোর): ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীদের সাথে বেনাপোল বন্দরের ব্যবসায়ীদের চলমান দ্বন্দ্বের নিরসন না হওয়ায় ধমর্ঘটের তৃতীয় দিন সোমবারও এ পথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ ছিল। এতে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় মারাত্মক পণ্যজট দেখা দিয়েছে। লম্বা ধর্মঘটে পচনশীল পণ্য নিয়ে ব্যবসায়ীরা আছেন বিপাকে।

বেনাপোল বন্দরে আমদানি পণ্য খালাসে সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যের অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ এনে গত শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ব্যবসায়ীরা এ ধর্মঘট ডাক দিয়ে বাণিজ্য বন্ধ করে দেন।

এদিকে ব্যবসায়ীদের দুই পক্ষ চলমান সমস্যা নিরসনে নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসলেও পেট্রাপোল বন্দরের শীর্ষ নেতারা সব উপস্থিত না থাকায় সমস্যার সমাধান হয়নি।

তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন মঙ্গলবার আবারও বৈঠক হবে। আশা করা যাচ্ছে সেখানে একটি সন্তোষজনক সমাধানে বাণিজ্য সচল হবে।

এদিকে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ থাকায় দুই পাশের বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় প্রায় দুই হাজারের বেশি পণ্য বোঝায় ট্রাক আটকা পড়ে আছে। এতে বন্দর এলাকায় ব্যাপক পণ্যজটের সৃষ্টি হয়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত কাচামাল ও পচনশীল পণ্যও রয়েছে। ভ্যাপসা গরমে ইতিমধ্যে পচনশীল পণ্য নষ্ট হতে শুরু করেছে। দ্রুত ধর্মঘট প্রত্যাহার না হলে বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, এটা দীর্ঘদিনের একটা জটিল বিষয়। এখানে অনেকের সার্থ সংশিষ্ট বিষয় আছে। এ কারণে দ্রুত সমাধান আসছে না। তবে তারা সংকট নিরসনে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র বলেন, পণ্য খালাসের ক্ষেত্রে লেন-দেন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তারা সমস্যার সম্মুখীন হয়ে আসছেন। ন্যায়সংগত সমাধান হলেই তারা ধর্মঘট তুলে নিবেন, না হলে লাগাতার ধর্মঘট চলতে থাকবে।

বেনাপোল বন্দরের আমদানি রফতানি সমিতির সভাপতি আমিনুল হক বলেন, ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় বেনাপোল বন্দরে সহস্রাধিক রফতানি মুখী ট্রাক আটকা পড়ে আছে। ভারতের পেট্রাপোল বন্দরেও আমদানি পণ্য নিয়ে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে দুই হাজার ট্রাক। এতে লোকসানের বোঝা বাড়ছে। তারাও চায় দুই পক্ষের মধ্যে স্থায়ী একটি সিদ্ধান্তের মধ্যে দ্রুত বাণিজ্য সচল হোক।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম জানান, সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের নিয়ে ভারতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওই বৈঠকে তাদের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত না থাকায় আলোচনা শেষ হয়নি। মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে আবারও দুই পক্ষের বৈঠক বসবে। আশা করা যাচ্ছে সেখানে একটি সমাধান আসবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৮
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।