ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সার কারখানাসহ ২০ প্রকল্পের অনুমোদন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৮
সার কারখানাসহ ২০ প্রকল্পের অনুমোদন একনেক সভা

ঢাকা: নরসিংদীর পলাশে ১০ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন সার কারখানার নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। এজন্য ‘ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রজেক্ট’-এর অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

মঙ্গলবার (০৯ অক্টোবর) শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় মোট ২০ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।  

প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় ৩২ হাজার ৫৩৪ কোটি টাকা।

এর মধ্যে প্রকল্প সাহায্য ৫ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা।  

একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

নরসিংদীর পলাশে ইউরিয়া সার কারখানার কাছে নির্মিত হবে নতুন আরেকটি কারখানা। এই কারখানায় প্রতিদিন দুই হাজার ৮০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদিত হবে। বার্ষিক উৎপাদন হবে ৯ লাখ ২৪ হাজার টন সার।

বর্তমানে দেশে ইউরিয়া সারের চাহিদা বছরে ২৬ থেকে ৩০ লাখ টন। বিসিআইসির আওতায় ছয়টি ইউরিয়া সার কারখানা বছরে উৎপাদন করছে ৯ থেকে ১০ লাখ টন সার।

সে হিসাবে দেশে ইউরিয়ার ঘাটতি প্রায় ১৭ থেকে ২০ লাখ টন। বিদেশ থেকে ইউরিয়া আমদানি করে এ ঘাটতি পূরণ করতে হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ইউরিয়া আমদানি কমবে।

নিরবচ্ছিন্ন পরিবহনের জন্য প্রথমবারের মতো তেল পরিবহন পাইপ নির্মিত হবে। এ জন্য ‘চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত পাইপলাইনে জ্বালানি তেল পরিবহন’ প্রকল্পে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২ হাজার ৮৬১ কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বাস্তবায়ন করা হয়।

জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল পর্যন্ত ১৬ ইঞ্চি ব্যাসের ২৩৮ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণ করা হবে। এছাড়া গোদলাইন থেকে ফতুল্লা পর্যন্ত ১০ ইঞ্চি ব্যাসের ৮ কিলোমিটার এবং কুমিল্লা থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত ৬ ইঞ্চি ব্যাসের ৫৯ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ পাইপলাইন নির্মাণ করা হবে। মোট ৩০৫ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণ করা হবে।

২০২১ সালের পর দেশের পুরাতন বিভিন্ন ফিল্ড থেকে গ্যাস উত্তোলন কমতে থাকবে। দেশে আর কোনো নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করা না গেলে বিকল্প জ্বালানি হিসেবে পেট্রোলিয়ামের চাহিদা দ্রুত বাড়তে থাকবে। ঢাকা ও এর আশেপাশে বার্ষিক পেট্রোলিয়ামের চাহিদা ১৫ লাখ মেট্রিক টন। বর্তমানে তা গোদলাইন ও ফতুল্লা ডিপোসমূহের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়।  

অন্যদিকে চাঁদপুরে অবস্থিত তেল বিপণন কোম্পানিসমূহের ডিপোতে পেট্রোলিয়ামের চাহিদা ১ দশমিক ৫৫ লাখ মেট্রিক টন। চট্টগ্রাম থেকে কোস্টাল ট্যাংকারযোগে বর্তমানে গোদলাইন, ফতুল্লা ও চাঁদপুরে জ্বালানি তেল পরিবহন করা হয়। এতে বিপুল খরচ হয়। পরিবহনের জন্য পরিবহন ঘাটতিও হয়। পাশাপাশি নদী পথে ট্যাংকারযোগে জ্বালানি তেল পরিবহনে পরিবেশ দূষণগত ঝুঁকিও রয়েছে।

বর্তমানে জলপথে ৯০ শতাংশ জ্বালানি তেল পরিবহন করা হয়। এজন্য রয়েছে ২০০টি কোস্টাল ট্যাংকার। দিনদিন নদীগুলোর নাব্যতা কমে যাচ্ছে। এছাড়া আবহাওয়া খারাপ হলে ট্যাংকার পরিচালনা করা যায় না। ফলে জ্বালানি তেলের চাহিদা বাড়লেও সঠিক সময়ে পরিবহন করা অনেক সময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। সঠিক সময়ে ও নির্বিঘ্নে হোয়াইট পেট্রোলিয়াম পরিবহনের জন্যই নির্মিত হতে যাচ্ছে ভূগর্ভস্থ পাইপলাইন।

এছাড়াও রোহিঙ্গাদের জরুরি বিদ্যুৎ দিতে ১০৪ কোটি টাকার একটি প্রকল্পেরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে একনেক সভায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৮
এমআইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।