তিনি বলেছেন, গত ১০ বছরে দেশে এলপি গ্যাসের ব্যবহার বেড়েছে ২১ গুণের বেশি। বর্তমানে প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন এলপিজি ব্যবহার হচ্ছে।
এছাড়া পরিবেশবান্ধব এই গ্যাস সঠিক নিয়মে ব্যবহার করলে দুর্ঘটনাও হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে রহমতুল মুমিন এ কথা বলেন।
বিদ্যুৎ সচিব বলেন, এলপি গ্যাস ব্যবহারের পাশাপাশি এ নিয়ে দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসব দুর্ঘটনাকে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সিলিন্ডারে উচ্চচাপে এলপি গ্যাস ভর্তি করার কারণে বিস্ফোরণ হয় না। আর প্রকৃতপক্ষে সিলিন্ডারে উচ্চচাপে এলপিজি ভর্তিও করা হয় না। এলপিজি ভর্তিজনিত কারণে কোনো সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয় না। প্রকৃত কারণ হচ্ছে সিলিন্ডার ব্যবহারের সঠিক নিয়ম না জানা। অসতর্কতা এবং সঠিক পরিবেশে সিলিন্ডার ব্যবহার না করা। সেইসঙ্গে সিলিন্ডারের গুণগতমান যাচাই না করা। তাই ব্যবহারকারী, উৎপাদনকারী ও বিপণনকারীকে সিলিন্ডার ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। তবেই দুর্ঘটনা কমে যাবে।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনা এড়াতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো- সিলিন্ডার চুলা বা আগুনের পাশে রাখা যাবে না। অতিরিক্ত গ্যাস বের করার জন্য সিলিন্ডারে তাপ দেওয়া যাবে না। রান্না শেষে চুলা ও এলপিজি সিলিন্ডার রেগুলেটরের সুইচ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। চুলা সিলিন্ডার থেকে কমপক্ষে ছয় ইঞ্চি উপরে রাখতে হবে। বাল্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রেগুলেটর ব্যবহার করা উচিত। রান্নার আধা ঘণ্টা আগে ঘরের দরজা জানালা খুলে দেওয়া ভালো। এলপিজি সিলিন্ডার খাড়াভাবে রাখা উচিত, কখনোই উপুড় বা কাত করে রাখা যাবে না এবং রান্নাঘরের উপরে ও নিচে ভেন্টিলেটর রাখা জরুরি।
মোহাম্মদ রহমতুল মুমিন বলেন, বাংলাদেশে এলপি গ্যাসের চাহিদা ৩০ লাখ মেট্রিক টন। এজন্য ৬০টি কোম্পানিকে প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কোম্পানিগুলো অপারেশনে আসলে এলপি গ্যাসের মাধ্যমে অন্যদিকে জ্বালানি চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। বর্তমানে ১৭টি কোম্পানি এলপি গ্যাস গ্রাহক পর্যায়ে সরবরাহ করছে।
তিনি আরও বলেন, পরিবেশবান্ধব এই গ্যাস সঠিক নিয়মে ব্যবহার করলে দুর্ঘটনা অনেকাংশেই কমে যাবে। তাই নিজে সচেতন হন এবং অন্যকেও সচেতন করার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮
জিসিজি/টিএ