ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বরাদ্দ বাড়ছে

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৯
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বরাদ্দ বাড়ছে

ঢাকা: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও মেট্রোরেলসহ ১০টি মেগা প্রকল্পকে গুরুত্ব দিয়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ১ লাখ ৮০ হাজার ৮৬৯ কোটি ১৭ লাখ টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বরাদ্দ বাড়ছে।

বুধবার (১৬ জানুয়ারি) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ আরো এগিয়ে নিতেই ৩১৮ কোটি টাকা বাড়তি বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।

চলতি বছরের এডিপিতে মেগা প্রকল্পের আওতায় মোট বরাদ্দ ছিলো ১১ হাজার ৯৯ কোটি টাকা। সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে ১১ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা।

চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে চূড়ান্ত হবে আরএডিপি। শেরে বাংলানগরের এনইসি সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরএডিপি চূড়ান্ত করবেন। ওই সভায় বাড়তি বরাদ্দের প্রস্তাব উঠবে মেগা প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-প্রধান আব্দুল মোমিন বাংলানিউজকে বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা যে বরাদ্দ নির্ধারণ করেছিলাম তার থেকে আরো বেশি খরচ করতে পারবো। এডিপিতে আমরা ১১ হাজার ৯৯ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছিলাম। কিন্তু সরকারি খাত থেকে আরো ৩১৮ কোটি টাকা খরচ করতে পারবো। এ জন্য পরিকল্পনা কমিশনে বাড়তি বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। সরকার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পকে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। আশা করছি চূড়ান্ত এডিপিতে বাড়তি বরাদ্দ পাবো।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় এখন সরকারি হিসাবে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি ৯১ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) দলিলে এই ব্যয়ের অংক উল্লেখ করা হয়েছে।

এ প্রকল্পের কংক্রিট ঢালাইয়ের কাজ শুরুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বিশ্ব পরমাণু ক্লাব’ (নিউক্লিয়ার নেশন)-এ যুক্ত হয়। বাংলাদেশ হবে এই ক্লাবের ৩২তম দেশ। বর্তমানে বিশ্বের ৩১টি দেশে ৪৫০টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিট চালু আছে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নের মোট ব্যয়ের ৯০ শতাংশ অর্থ ঋণে সরবরাহ করছে রাশিয়া। এই প্রকল্পে রাশিয়ার উদ্ভাবিত সর্বাধুনিক ৩+ প্রজন্মের (থ্রি প্লাস জেনারেশন) ‘ভিভিইআর ১২০০’ প্রযুক্তির পারমাণবিক চুল্লি ব্যবহার করা হবে। প্রতিটি ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিট স্থাপন করা হবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে। ২০২৩ সালে এর প্রথম ইউনিট এবং পরের বছর ২০২৪ সালে দ্বিতীয় দ্বিতীয় ইউনিট চালু হওয়ার কথা। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে টানা ৬০ বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পটি দেখভাল করছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইতি রাণী পোদ্দার। প্রকল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা আশা করছি সঠিক সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এডিপিতে প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতিও ভালো।   প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পের কাজ সরাসরি দেখভাল করছেন। নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্পের কাজ আমরা শেষ করতে পারবো।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৯
এমআইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।