ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বেড়েছে সবজি, পিঁয়াজ, ডিমের দাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০১৯
বেড়েছে সবজি, পিঁয়াজ, ডিমের দাম বাজারে ওঠা সবজি, মাছ ও নিত্যপণ্য

ঢাকা: রাজধানীর বাজারে আবারও বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি, পিঁয়াজ, সবজি ও ডিমের দাম। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে পণ্য নষ্ট ও সরবরাহে সমস্যা হওয়ায় এ দাম বৃদ্ধি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

একইসঙ্গে আকারভেদে সব ধরনের ইলিশের দাম হালিতে বেড়েছে পাঁচশ’ থেকে এক হাজার টাকা। এতে জীবনযাপনের ব্যয় মেটাতে কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

এদিকে আগামী ১৬ থেকে ২২ মার্চ পালন করা হবে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০১৯। এ লক্ষ্যে বাজারে অভিযান ও প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আর এ সুযোগে অধিক মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছেন অনেক ব্যবসায়ী। তারা ক্রেতাদের বলছেন, ‘এক সপ্তাহ পর আগামী একমাস বাজারে আর ইলিশ পাওয়া যাবে না’। তাই চাহিদা বাড়ায় বেড়েছে ইলিশের দাম।

শনিবার (০২ মার্চ) রাজধানীর ঠাটারি বাজার, সেগুনবাগিচা বাজার, কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক কেজি বা তার কিছু বেশি-কম ওজনের ইলিশ পাওয়া গেলেও দাম গত সপ্তাহ থেকে হালিতে বেড়েছে আকারভেদে ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা। এসব বাজারে ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের এক হালি ইলিশের দাম ২০০০ হাজার টাকা, ৭০০-৮০০ গ্রাম প্রতি হালি ইলিশের দাম ৩০০০ থেকে ৩৫০০ হাজার টাকা, এক কেজি ওজনের প্রতি হালি ইলিশের দাম ৫০০০ হাজার থেকে ৬০০০ হাজার টাকা। অথচ সপ্তাহখানেক আগেও ৫০০ গ্রামের আশপাশের ওজনের প্রতি হালি ইলিশ এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের হালির দর ছিলো আড়াই হাজার টাকার কাছাকাছি, আর এক কেজি ওজনের প্রতি হালি ইলিশ বিক্রি হয়েছে চার হাজার টাকায়।  

এ বিষয়ে সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের ইলিশ বিক্রেতা মো. সুমন পোদ্দার বাংলানিউজকে বলেন, জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ শুরু হবে, তাই বাজারগুলোতে এখন থেকেই প্রচার শুরু করেছে সরকার। একই সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে অভিযানও পরিচালনা করা হয়ে থাকে। সে সময় আমরা ধরতে ও বিক্রি করতে পারবো না। একারণে ইলিশ মাছ বিক্রেতারা মাছ আনা বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে সরবরাহ কমায় চাহিদা বাড়ায় দাম বেড়েছে।

রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, কেজিতে দেশি পিঁয়াজ ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫  থেকে ৪০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২০ থেকে ২৫ টাকায়। আমদানি করা ভারতীয় পিঁয়াজ ৫ টাকা বেড়ে ২৫ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে। বৃষ্টিতে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। বাজার ও মানভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ২০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, আগে ছিল ৩০ টাকা, ধনে পাতা ৬০ টাকা, আগেছিল ৫০ টাকা, শিম ৩০ টাকা, আগে ছিল ২০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৩০ টাকা, আগে বিক্রি হয়েছে ১৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩৫ টাকা, আগে ছিল ২০ টাকা পিস। এছাড়া প্রতি কেজি করলা ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, লাউ পিস ৫০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা কেজি এবং মূলা ২৫ টাকা, নতুন আলু ১৫ টাকা, কাঁচামরিচের ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সবধরনের শাক বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা আঁটি।  

এদিকে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। যা গতসপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৪৫ টাকায়। লেয়ার মুরগি ২০০ টাকা, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকায়। কর্ক বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। মুরগির দাম বাড়লেও বাজারে গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গরুর মাংস আগের মতোই ৪৮০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা কেজি এবং খাসির মাংস ৬৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  

তবে বেড়েছে সবধরনের ডিমের দাম। মুরগির ডিম প্রতি ডজনে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়। হাঁসের ডিম ১৫৫ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ১৭০ টাকা ডজন বিক্রি হতে দেখা গেছে।

আগের দামেই দামে বিক্রি হচ্ছে ছোট বড় সব মাছ। রুই মাছ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা কেজি। পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি। টেংরা মাছের কেজি ৫০০ থেকে ৬৫০ টাকা। তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, শিং মাছ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, চিতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় মাছ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, বাইলা মাছ ৭০০ টাকা, বাইম ৬০০ টাকা, পোয়া ৫০০ টাকা, মলা ৪০০ টাকা, খল্লা ৩৫০ টাকা, শোল ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৪২ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।