ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সমুদ্র অর্থনীতি বিকাশে দক্ষতা উন্নয়ন অপরিহার্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৯
সমুদ্র অর্থনীতি বিকাশে দক্ষতা উন্নয়ন অপরিহার্য ঢাকা চেম্বার নেতাদের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

ঢাকা: সমুদ্র অর্থনীতি খাতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল। এ খাতের যথাযথ বিকাশে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়নসহ প্রাতিষ্ঠানিক ও মানব সম্পদের দক্ষতা উন্নয়ন একান্ত অপরিহার্য বলে মনে করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত জ্যাং জো। 
 

একই সঙ্গে চীন সরকার বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে নতুন বিনিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীদের চীনে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।



শনিবার (১৬ মার্চ) ঢাকা চেম্বার কার্যালয়ে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ওসামা তাসীর-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত এ সব কথা বলেন।

এসময় ঢাকা চেম্বারের সহ-সভাপতি ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী, সহ-সভাপতি ইমরান আহমেদ, পরিচালক আন্দালিব হাসান, দ্বীন মোহাম্মদ, এনামুল হক পাটোয়ারী, হোসেন এ সিকদার, ইঞ্জিনিয়ার আল আমিন, মোহাম্মদ বাশীর উদ্দিন, নূহের লতিফ খান, শামস মাহমুদ, এস এম জিল্লুর রহমান এবং চীনা দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর এলভি ইয়াং উপস্থিত ছিলেন।

চীনের রাষ্ট্রদূত জ্যাং জো বলেন, বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতের বৃহৎ প্রকল্পগুলোর উন্নয়ন ও বিনিয়োগে চীন বৃহত্তম অংশীদার। নিকট ভবিষ্যতে এখাতের নতুন প্রকল্পসমূহে চীনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সামনের দিনগুলোতে এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, এ অঞ্চলে উচ্চমান সম্মত পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিতকল্পে চীন সরকার কর্তৃক গৃহীত ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ কার্যক্রমটি চলমান রয়েছে। এছাড়া চীনের ২০০টি বড় প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি প্রায় ২০০টির মতো ক্ষুদ্র ও মাঝারি চীনা উদ্যোক্তাও এদেশে বিনিয়োগ করেছে।

তিনি চীন ও বাংলাদেশর ব্যবসায়ীদের মধ্যকার সহযোগিতা বাড়ানো, সম্ভাবনাময় খাতে প্রয়োজনীয় গবেষণা পরিচালনা এবং দু’দেশের বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের যোগাযোগ সম্প্রসারণে ঢাকা চেম্বার একটি অন্যতম মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ওসামা তাসীর চীনের রাষ্ট্রদূতকে ডিসিসিআইতে আসার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার। চীন বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতের বড় প্রকল্প সমূহে বিনিয়োগ করেছে। সামনের দিনগুলোতে এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।  

তিনি বলেন, চীন ও আশিয়ান অঞ্চলের দেশসমূহরে সঙ্গে সহযোগিতা আরো বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ‘লুক ইস্ট’ নীতিমালা গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ প্রতিবছর চীনে মৎস্য ও হিমায়িত মৎস্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, শাক-সবজি, টেক্সটাইল ফাইবার্স, পেপার ইয়ার্ন, ওভেন ফেব্রিক্স, ইলেক্ট্রিক্যাল মেশিনারিজ এবং আসবাবপত্র প্রভৃতি পণ্য রফতানি করে থাকে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালের মধ্যে দু’দেশের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে এসে দাঁড়াবে। তৈরি পোশাক খাতের বহুমুখীকরণ এবং এ খাত সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি বিনিময়ে চীনের বৈদেশিক বিনিয়োগের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, তথ্য-প্রযুক্তি খাতে চীন সারা পৃথিবীতে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ও ৪র্থ শিল্প বিল্পবের সুবিধা গ্রহণের জন্য বাংলাদশে তথ্য-প্রযুক্তি খাতে চীনের উদ্যোক্তাদের আরো বেশি হারে বিনিয়োগসহ চীনের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ‘শুল্ক ও কোটা মুক্ত’ সুবিধা প্রদানের আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৯
জিসিজি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।