ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

শেষ হলো ‘ইউএস ট্রেড শো’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৯
শেষ হলো ‘ইউএস ট্রেড শো’

ঢাকা: ইউএস ট্রেড শো-২০১৯ শেষ হয়েছে। শেষদিন দর্শনার্থীদের নজর কেড়ে ছিল প্রসাধনী স্টলগুলো। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যের ওপর বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করেছিল প্রদর্শনীর শুরুর দিন থেকে। তবে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি কম ব্যবসায়ীদের মধ্যে হওয়ায় হতাশা দেখা গেছে।

শনিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ২৬তম ‘ইউএস ট্রেড শো’ শেষদিনে গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র।

দেখা যায়, প্রদর্শনী উপলক্ষে প্রসাধনীর স্টলগুলোতে ছিল বিশেষ ছাড়।

মেলা উপলক্ষে নিজ পণ্যের প্রচারের জন্য ফ্রি প্রসাধনীও দিতে দেখা গেছে নায়োর কসমেটিকসকে। শুধু তাই নয় প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়ার আগ থেকেই প্রচারণার স্বার্থে ফেসবুকে প্রায় ৫০০-৬০০ ডলার খরচ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে তুলনামূলক দর্শনার্থী কম হওয়ার হতাশ তারা। এক্ষেত্রে সরকারি ছুটিও সংশ্লিষ্টদের প্রচারে ঘাটতি ছিল বলে মনে করেন তারা।

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা এ প্রদর্শনীতে ফ্রি গিফট্ দিচ্ছি। তারপরও ক্রেতা-দর্শনার্থীর তেমন সাড়া পাচ্ছি না। আমাদের প্রতিষ্ঠান ২৭ বছর ধরে এ প্রদর্শনীর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তবে এতো বছরের মধ্যে এবারের প্রদর্শনীতে দর্শনার্থী উপস্থিতি একবারেই কম ছিলো।

প্রদর্শনীতে ইউএস ফুড মার্ট ক্রেতাদের জন্য ১০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে। এছাড়া জর্ডানা, পি অ্যান্ড জিসহ একাধিক স্টল ক্রেতাদের জন্য ছাড়ের ব্যবস্থা রাখে।

তবে পণ্য বিক্রয় নয়, প্রদর্শন করাই মূল উদ্দেশ্য বলে জানালেন পি অ্যান্ড জি’র টেরিটরি সেলস্ ম্যানেজার রাহাত। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘মেলা উপলক্ষে প্রত্যেক ক্রেতাই এমআরপি দিয়ে নয় ট্রেড প্রাইজে পণ্য ক্রয় করতে পারছেন। গতকাল শুক্রবার (১৫ মার্চ) থাকায় কিছুটা দর্শনার্থী ভিড় থাকলেও শেষদিনে দর্শনার্থী একেবারে কম ছিলো। ’

এদিকে প্রসাধনী কিনতে পরিবারসহ মেলায় এসেছেন বেসরকারি এনজিওতে কর্মরত মশিউর খন্দকার। প্রতিবছরই এ মেলা থেকে প্রসাধনী ক্রয় করে খুশি তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি বছরের পণ্য এক সঙ্গে ক্রয় করি। কেননা এখানে আসলে নকল নয় ইউএস’র আসল পণ্যটা পাই। ’

অন্যদিকে ফিডেক্স, কালারমেক্স, প্রোক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বল, এইচপি, ডেল, কসমেটিকস্, জুতো, আধুনিক রং মেশিন, খাদ্য পণ্যসহ যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি বিখ্যাত কোম্পানি ও পরিবেশকরা তাদের পণ্য প্রদর্শন করে এ মেলায়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনদিন ব্যাপী ১৪, ১৬ ও ১৬ মার্চ এ প্রদর্শনী যৌথভাবে আয়োজন করে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) ও ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস।  

২৬তম প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬টি প্রতিষ্ঠান মোট ৭৪টি বুথ নিয়ে অংশ নেয়। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয় প্রদর্শনী। সাধারণের জন্য টিকিটের মূল্য ৩০ টাকা এবং শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে এ প্রদর্শনীতে প্রবেশ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৯
এসএমএকে/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।