বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকায় নরডিক দূতাবাসের সহযোগিতায় এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে বিভিন্ন শিল্প-ব্যক্তিত্ব এবং স্টেকহোল্ডারদের একত্রিত করে তাদের সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তি, কর্মপদ্ধতি ও উঠতি ট্রেন্ড নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সেমিনারের মূল উদ্দেশ্য ছিলো বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সমাজের কাছে বর্তমান এবং ভবিষ্যতের সাস্টেইনাবিলিটি ট্রেন্ড পরিচিত করে তোলা।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান তাদের দক্ষতা এবং সাস্টেইনাবিলিটি বাড়াতে বৃষ্টির পানি ব্যবহার, পানি সাশ্রয়ী রং, কেমিক্যাল এবং নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার রপ্ত করা শুরু করেছে।
সেমিনারে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসেন, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত মিস সিডসেল ব্লেকেন এবং সুইডেনের রাষ্ট্রদূত শারলোটা স্লাইটার উপস্থিত ছিলেন।
এসময় তারা চলমান সাস্টেইনাবিলিটি নীতির প্রতি তাদের ইতিবাচক বক্তব্য রাখেন। তারা তাদের বিজনেস ইউনিটগুলোতে সাস্টেইনাবিলিটি অর্জনের প্রচেষ্টা বাড়ানোর মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের প্রচলন এবং নরডিক ব্যবসায়িক নীতির সম্মান বাড়ানোর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
তিনি বিশ্বজুড়ে সাস্টেইনাবিলিটি নীতির অবস্থান, প্রয়োগের পাশাপাশি বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও সমস্যা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেন।
সেমিনারে বাংলাদেশে প্রাইভেট সেক্টরকে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি কর্মপদ্ধতি ব্যবহারের পাশাপাশি সাস্টেইনাবিলিটি নীতি মেনে চলার জন্য উৎসাহিত এবং সহযোগিতা করার কথা উল্লেখ করে নরডিক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট তারেক রহমান বলেন, নরডিক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সবসময় এ বিষয়ে সহায়তা করবে।
এসময় এইচ অ্যান্ড এম, জাবের অ্যান্ড জুবায়ের ফ্যাব্রিক্স লিমিটেড, ডিবিএল গ্রুপ, আমান স্পিনিং মিলস লিমিটেড, জিওসাইকেল ও গ্রামীনফোন তাদের নিজস্ব সাস্টেইনাবিলিটি নীতি বিষয়ক বক্তব্য উপস্থাপন করে।
পরে প্যানেলিস্ট ও দর্শকদের মধ্যে এ বিষয়ক প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৯
আরবি/