ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রমজানে ভেজাল খাবার রোধে জিরো টলারেন্সে খাদ্য মন্ত্রণালয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৭ ঘণ্টা, মে ২, ২০১৯
রমজানে ভেজাল খাবার রোধে জিরো টলারেন্সে খাদ্য মন্ত্রণালয় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: আসন্ন রমজানে ভেজাল খাদ্য ও পচা-বাসি খাবার রোধে খাদ্য মন্ত্রণালয় জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

তিনি বলেন, ভোক্তা সাধারণকে নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা দিতে এ নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘রমজানে নিরাপত্তা খাদ্য নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

এসময় সভায় খাদ্য সচিব শাহাবুদ্দিন আহমদ, অতিরিক্ত সচিব আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য অধিদফতরের চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক, নিরাপদ খাদ্য করপোরেশনের মাহবুব কবির, বাণিজ্য, কৃষি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, হোটেল, রেঁস্তোরা মালিক সমিতি, র‌্যাবসহ বিভিন্ন সংস্থা ও মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের খাদ্যশস্যের মজুদ সন্তোষজনক, মাসিক চাহিদা ও বিকরণ পরিকল্পনার তুলনায় পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। এ মুহুর্তে খাদ্যশস্যের কোনো ঘাটতি নেই।  বর্তমানে সরকারি গুদামে মোট ১৩ দশমিক ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে চাল ১০ দশমিক ৬৭ লাখ মেট্রিক টন এবং গম ১ দশমিক ৭৩ লাখ মেট্রিক টন।

তিনি বলেন, খাদ্যশস্যের বাজারমুল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে এবং নিম্ন আয়ের মানুষদের সহায়তা দেওয়ার জন্য রমজানে ১৮ টাকা কেজি দরে আটা এবং ৩০ টাকা দরে চাল বিক্রি অব্যাহত থাকবে। একইসঙ্গে নিরাপদ খাদ্য ও ভেজাল বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকার পাশাপাশি খাদ্য স্থাপনাগুলোতে মনিটরিং জোরদারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শককে আসন্ন রমজান উপলক্ষে খাদ্য স্থাপনা ও বাজার পরিদর্শন জোরদার করার জন্য প্রয়োজনীয় নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকাসহ সারাদেশে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, বাজারজাতকরন, সরবরাহ ও বিপণন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরনের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলা ও উপজেলায় নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনায় সমন্বয কমিটির সাধ্যমে ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হবে। এছাড়া কাঁচা বাজার, ইফতার বাজার, খাদ্য স্থাপনা, হোটেল ও রেঁস্তোরায পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও খাদ্যের নিরাপত্তা রক্ষায় পরিদর্শন দল গঠনের মাধ্যমে নিয়মিত তদারকি করা হবে।  

খাদ্য সচিব শাহাবুদ্দিন আহমদ জানান, রমজানে বিদেশ হতে আমদানি করা খাদ্যদ্রব্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আমদানি তদারকি, বিভিন্ন খাদ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের খাদ্যের দূষণ ভেজাল, মেয়াদ উত্তীর্ণ ইত্যাদি তদারকিতে মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এছাড়া কৃষিজাত পণ্য সংরক্ষণ, পরিবহন ও বাজারজাতকরণে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘন্টা, মে ০২-২০১৯।
জিসিজি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।