ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

স্বচ্ছতায় সফটওয়্যার অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম চালুর তাগিদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৩ ঘণ্টা, মে ৫, ২০১৯
স্বচ্ছতায় সফটওয়্যার অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম চালুর তাগিদ শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অতিথিরা

ঢাকা: শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চিনিকল, সার কারখানাসহ অন্যান্য পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো লাভজনক করতে ব্যবস্থাপনা ও বিপণন দক্ষতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের আংশিক মালিকানাধীন বিভিন্ন কোম্পানির প্রধান নির্বাহীরা।

একই সঙ্গে কারখানাগুলোর আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনতে বাধ্যতামূলকভাবে সফটওয়্যার অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম চালুর তাগিদ দেন তারা।

রোববার (০৫ মে) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আংশিক মালিকানাধীন বিভিন্ন কোম্পানির প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে মন্ত্রণালয় মনোনীত পরিচালকদের পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের লক্ষ্যে আয়োজিত এক সভায় পরামর্শ দেওয়া হয়।

 

শিল্পসচিব আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগের সঞ্চালনায় এতে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (কাফকো) চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) হাবিবুল্লাহ মঞ্জু, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো বাংলাদেশের (বিটিএবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ মুনিম, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেদার লেলেসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব সংস্থা ও করপোরেশনের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।  

মুক্ত আলোচনায় বক্তারা রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প কারখানার উন্নয়নে ব্যবস্থাপনা ও বিপণন দক্ষতা বাড়ানোসহ জনবলের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বাস্তবমুখী প্রশিক্ষণ, আর্থিক স্বচ্ছতা ও হিসাব ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে খাতভিত্তিক কোর কমিটি গঠন করার পরামর্শ দেন তারা। একই সঙ্গে কোম্পানি ব্যবস্থাপনা বোর্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত সদস্যদেরকে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে আরও নিবিড়ভাবে জড়িত হওয়ার সুপারিশ করেন।  

বক্তারা বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে চিনি, সার এবং অন্যান্য পণ্য উৎপাদনকারী রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানাগুলোর জনবল ও ব্যবস্থাপনা দক্ষতা বাড়াতে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজনের বিষয়ে সম্মত হন।  

সভাপতির বক্তব্যে শিল্প সচিব বলেন, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন শিল্প কারখানাগুলো লাভজনক করতে মন্ত্রণালয়ের আংশিক মালিকানাধীন কোম্পানি তিনটির ব্যবস্থাপনা দক্ষতা, পরিকল্পনা ও কর্মকৌশল কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে। তিনি কোম্পানি তিনটির অনুসরণে বিসিআইসি, বিএসএফআইসি এবং বিএসইসি’র আওতাধীন কারখানাগুলোর ব্যবস্থাপনা, হিসাব, উৎপাদন ও বিপণন কৌশল ঢেলে সাজানোর নির্দেশনা দেন।  

চিনি শিল্পকে কোনোভাবেই লোকসানি প্রতিষ্ঠানে হতে দেওয়া হবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ শিল্পের উন্নয়নে বিটিএবি মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা আখ চাষিদের ক্ষেত্রে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়কে একটি পেশাদার মন্ত্রণালয় হিসেবে উল্লেখ করেন এবং শিল্প ও বাণিজ্য সম্পৃক্তদের সঙ্গে শিল্প মন্ত্রণালয়ের শক্তিশালী লিংকেজ গড়ে তোলার তাগিদ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।