ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

যারা লুটেপুটে খেয়েছে তারাই এখন নসিয়ত করছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৭ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৯
যারা লুটেপুটে খেয়েছে তারাই এখন নসিয়ত করছে ‘এনএসডিএস ইম্প্লিমেন্টেশন সার্পোট প্রজেক্ট’ এর দু’দিনব্যাপী কর্মশালায় বক্তব্য রাখছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

ঢাকা: বিগত সময়ে যারা লুটেপুটে খেয়েছে তারাই এখন নসিয়ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

রোববার (২৩ জুন) হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে পরকিল্পনা মন্ত্রণালয়রে পরসিংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের আওতাধীন বাংলাদশে পরসিংখ্যান ব্যুরোর ‘এনএসডিএস ইম্প্লিমেন্টেশন সার্পোট প্রজেক্ট’ এর দু’দিনব্যাপী কর্মশালায় এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
 
বিএনপিকে  ইঙ্গিত করে মন্ত্রী বলেন, লুটেপুটে রেখে গেছে যারা তারা এখন নসিয়ত করবেন।

তবে আমাদের সত্যবাদী হয়ে কাজ করতে হবে। কেউ ঘুমিয়ে থাকে থাকুক, তবে আমরা ভিশন-২০২১ বাস্তবায়ন করবোই। আমরা বসে থাকবো না। আমাদের উপর দেশের বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাস রাখে।
 
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের জন্য কাজ করছি। বাংলাদেশ পারবে, বাংলাদেশ পারছে। দেশে দরিদ্রতার কঠিন শিলা গলতে শুরু করছে। দেশে এক সময় দারিদ্র্য থাকবে না। আমাদের বড় শত্রু দরিদ্রতা।  
 
বিবিএস প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কোনো তথ্য বিকৃত অথবা বাড়িয়ে বলা যাবে না। যেটা সঠিক সেই তথ্য পরিবেশন করতে হবে। কেউ যেন না বলতে পারে আমরা ডাটা ইঞ্জিনিয়ারিং করছি।
 
প্রধানমন্ত্রীর উদাহরণ টেনে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এক সময় একটা অনুষ্ঠানে বলেছিলাম মাথাপিছু আয় প্রায় দুই হাজার ডলার। এমন কথা বলামাত্র প্রধানমন্ত্রী আমাকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, মাথাপিছু আয় হবে ১ হাজার ৯০৯ ডলার। সঠিক তথ্য বলতে হবে কোনো তথ্য বাড়িয়ে বলা যাবে না। ডাটা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রায় ব্যবহার করা যাবে না। ’
 
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা যদি সত্যবাদী হই তাহলে আসল কাজটা করতে পারবো। আমাদের সঠিক কাজ করতে হবে। আপনারা সর্বোচ্চ কাজ করুন। কারো কথা শুনবো না, সামনে এগিয়ে যাবো। আমরা অধিকাংশ মানুষ বিশ্বাস করি বাংলাদেশ পারবে, পারছে। দেশে পরিবর্তন হয়েছে, হচ্ছে। দরিদ্রতার শিলাখণ্ডে ভাঙন শুরু হয়েছে।
 
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে বিশ্বব্যাংকরে ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর দ্যান দ্যান চেন, জাতসিংঘরে আওতাধীন এশিয়া প্যাসিফিক পরসিংখ্যান ইনস্টিটিউটের পরিচালক আশিষ কুমার, ভুটান পরিসংখ্যান ব্যুরোর পরিচালক চিমনে সেরিং এসময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদশে পরসিংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক ড. কৃষ্ণা গায়েন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৯
এমআইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।