ভ্যাট প্রত্যাহারে রাজস্ব বোর্ড এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনার কথা জানায় সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ই-ক্যাব নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার, সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ তমাল, সহ-সভাপতি রেজওয়ানুল হক জামীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ই-ক্যাব সভাপতি বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং অর্থ মন্ত্রণালয় খুব আন্তরিকতার সঙ্গে আমাদের কথা শুনেছে। উদীয়মান এই খাতকে বড় করতে হলে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভ্যাটের বোঝা থেকে আমাদের মুক্ত রাখতে হবে অন্তত আরও পাঁচ বছর। এই খাতের প্রায় ৩০ শতাংশই নারী উদ্যোক্তা। রাজস্ব বোর্ড ও মন্ত্রণালয় আমাদের দাবিগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ই-কমার্স একটি বড় খাত। এর পরিধি পোশাকখাত থেকেও বড় হতে পারে।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, রাজস্ব বোর্ড স্বীকার করেছে যে, ই-কমার্সকে ভ্যাটের আওতায় আনা তাদের ভুল হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা আইসিটি ডিভিশন, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বেসরকারি খাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে আলোচনা করেছি। ফলে আইসিটি ডিভিশন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে রাজস্ব বোর্ডকে ইতোমধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে যেন ভ্যাট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। আমরা আশাবাদী শেষ পর্যন্ত প্রস্তাবিত সাড়ে সাত শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ই-কমার্স উদ্যোক্তারা শুধু ব্যবসা পরিচালনাই করছেন না বরং প্রচুর কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি করেছেন। তাই এমন কোনো কিছু করা ঠিক হবে না যা এই খাতের জন্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। এটিকে বড় হতে দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন প্রিয় শপ ডট কম, দারাজ, চাল-ডাল, রকমারি ডট কমসহ বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৯
এসএইচএস/ এইচএডি/এএটি