মার্চ শেষে সোনালী, রূপালী, অগ্রণী, জনতা, বেসিক ও বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৩ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকা। যা মোট খেলাপি ঋণের ৪৮ দশমিক ৬০ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর শেষে সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১২ হাজার ৬১ কোটি টাকা থাকলেও তিনমাসে ১৭৬ কোটি টাকা বেড়ে মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ২৩৭ কোটি টাকা।
একইভাবে অগ্রণী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৫ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা থেকে ৩৯৬ কোটি টাকা বেড়ে ৬ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা হয়েছে।
জনতা ব্যাংকের ১৭ হাজার ২২৫ কোটি টাকা থেকে ৪ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা বেড়ে ২১ হাজার ৪১১ কোটি টাকা হয়েছে।
বেসিক ব্যাংকের ৮ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা থেকে ১৭২ কোটি টাকা বেড়ে ৮ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা হয়েছে।
বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের (বিডিবিএল) ৮৯৭ কোটি টাকা ১৩ কোটি বেড়ে ৯শ’ কোটি টাকা হয়েছে।
তিন মাসে একমাত্র রূপালী ব্যাংক ৫০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ আদায় করতে পেরেছে। মার্চ শেষে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩৮০ কোটি টাকায়।
যদিও দায়িত্ব নিয়েই চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছিলেন, আজ থেকে খেলাপির ঋণ এক টাকাও বাড়বে না। অর্থমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের পরে তিনমাসে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ ১৬ হাজার ৯৬২ টাকা বেড়েছে। আর সরকারি ছয় ব্যাংকের বেড়েছে ৫ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমান প্রধান বলেন, তিন বছর আগে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি, খেলাপি ঋণ আদায় করতে। আমি মনে করি, এ যাত্রায় অনেকটা সফলতার মুখও দেখেছি। খেলাপি ঋণ আদায় প্রক্রিয়া চলমান আছে, অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, খেলাপি ঋণ আদায়ের সময় শেষ হয়ে যায়নি। সরকারি ব্যাংকের ঋণ আদায়ের আইনগত জটিলতাগুলোর সমাধান করতে হবে। এতে আদালতের নির্দেশে আটকে থাকা বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ আদায় হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন মতে, চলতি বছরের মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা। এ সময় পর্যন্ত ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ৯ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩৭ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৯
এসই/আরবি/