ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পোশাক খাতের ৫ কারখানায় বেতন-ভাতা সমস্যার আশঙ্কা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২১ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০১৯
পোশাক খাতের ৫ কারখানায় বেতন-ভাতা সমস্যার আশঙ্কা শ্রম মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কোর কমিটির সভা

ঢাকা: আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে তৈরি পোশাক রপ্তানি খাতের ৫টি কারখানায় বেতন-ভাতা নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভারপ্রাপ্ত সচিব কে এম আলী আজম। তিনি বলেন, আমাদের গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য মতে, পাঁচটি কারখানায় বেতন-বোনাস পরিশোধে সমস্যা হতে পারে। তবে এজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

এরমধ্যে গাজীপুরের দুইটি, ঢাকায় দুইটি ও নারায়ণগঞ্জের একটি পোশাক কারখানা রয়েছে। এদের মধ্যে কর্তৃপক্ষ কয়েকটির বেতন অর্ধেক পরিশোধ করেছেন বলেও জানান তিনি।

রোববার (০৪ আগস্ট) সচিবালয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কোর কমিটির সভা শেষে তিনি এ কথা জানান। বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান অসুস্থ থাকায় তিনি বাসা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে অংশ নেন। এছাড়া বৈঠকে  বিজিএমইএ,  বিকেএমইএ নেতাসহ সব স্টেকহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।

আলী আজম বলেন, পোশাক খাতে যেন কোনো ধরনের অসন্তোষ সৃষ্টি না হয় সেজন্য শ্রম মন্ত্রণালয়, মালিক, শ্রমিকসহ অন্যান্য এজেন্সিদের নিয়ে একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। তারা বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ এর সব কারখানায় বেতন ভাতা ঠিকমতো দেয় কিনা মনিটরিং করবে। এছাড়া তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধান করা হবে। এর আগে বিকেএমইএর ঢাকার একটি কারখানায় সমস্যা হওয়ায় তারা সিএনজি ও যন্ত্রাংশ বিক্রি করে বেতন-ভাতা পরিশোধ করেছে।

তিনি বলেন, আগামী ঈদের আগে ৯ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে সব মিল কারখানায় বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এজন্য শিল্প এলাকা বা রপ্তানিমুখি পোশাক কারখানার আশপাশের সব ব্যাংক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, আসন্ন ঈদে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের ছুটি শুরু হবে ১০ আগস্ট। এবার দুই ধাপে তাদের ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। টঙ্গী, পুবাইল, বোর্ড বাজার, গাজীপুর সদর, কাশিমপুর, কোনাবাড়ী, কালিয়াকৈর, কাপাসিয়া, কালিগঞ্জ, শ্রীপুর মাওনা, মিরের বাজার ও ভালুকা এলাকার কারখানার শ্রমিকদের ১০ থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

আর আশুলিয়া, কলমা, সাভার, হেমায়েতপুর, ধামরাই, জিরানি বাজার, বিকেএসপি, তুরাগ ও মানিকগঞ্জের এলাকার কারখানার শ্রমিকদের ছুটি ১১ আগস্ট শুরু হয়ে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এছাড়া সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়া বাকি দিনগুলো কারখানা কর্তৃপক্ষ জেনারেল ডিউটি সমন্বয় করতে পারবেন বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।