ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বরিশালের মোকামে ইলিশের ব্যাপক আমদানি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৯
বরিশালের মোকামে ইলিশের ব্যাপক আমদানি আড়তে তোলা ইলিশ আকারভেদে আলাদা করা হচ্ছে

বরিশাল: মৌসুমের শুরুতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা না মিললেও মধ্য মৌসুমে এসে বরিশালের মোকামগুলোতে প্রচুর পরিমাণে রূপালি ইলিশের আমদানি হচ্ছে। যদিও ব্যবসায়ীদের চোখে এখনও গত বছরের এই সময়ের আমদানিকে ছুঁতে পারেনি বর্তমান ইলিশের আমদানি। পাশাপাশি কেজি আকারের ইলিশের আমদানিও বিগত সময়ের চেয়ে অনেকটাই কম বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

আর এতে তুষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে যে মাছ আসছে এই ধারাবাহিকতা থাকলে কিছুটা লোকসান পুষিয়ে উঠতে সক্ষম হবেন তারা।

আর জেলেদের মতে, ঋতু অনুযায়ী বৈশাখ মাস থেকেই ইলিশ মৌসুমের শুরু হয়।

তবে এবছর আবহাওয়াজনিত কারণে তা ছিল ব্যতিক্রম। মৌসুমের শুরুতে ইলিশের দেখা মেলেনি নদী কিংবা সাগরে। কিন্তু মৌসুমের মাঝামাঝি সময় এসে হঠাৎ করেই বেড়েছে ইলিশের আমদানি। আর এখন থেকে যতদিন যাবে তত বেশি মাছ ধরা পড়বে জেলেদের জালে।

তবে পর্যাপ্ত হারে এখনও স্থানীয় নদীর মিঠা পানির ইলিশের দেখা মিলছে না বলে জানিয়েছেন জেলেরা।  

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে ফিশিং বোটের (সাগরে মাছ ধরার নৌ-যান) মাছই বেশি আসছে বরিশাল নগরের পোর্টরোডের বেসরকারি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটিতে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখনও পুরোদমে মাছ আসতে শুরু করেনি বরিশালে। তবে কয়েকদিন ধরে ইলিশ ধরা পড়ছে এটা ভালো লক্ষণ, এ কারণে স্থানীয় বাজারে কিছুটা ইলিশের দরও কমছে।

বরিশাল মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অজিত দাস জানান, গত মৌসুমে এইসময় পোর্টরোডের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটিতে মাছের আমদানি ছিল ১৫শ থেকে ২ হাজার মণ। আর এবছর ৮শ থেকে এক হাজার মণ। অপরদিকে জেলেদের জালে স্থানীয় নদীর মাছ ধার পড়া শুরু হলে মাছের আমদানি আরো বেড়ে যাবে বলে জানান তিনি।

গত সপ্তাহে বরিশালের পোর্টরোডের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কেজি সাইজের মাছ ৪৪ হাজার টাকা, এলসি (৬-৯ শত গ্রাম) সাইজের মাছ ৩২ থেকে ৩৪ হাজার টাকা, ৪ থেকে ৬ শত গ্রাম (ভেলকা) ইলিশ ২০-২২ হাজার টাকা ও ৪শ গ্রামের মধ্যে (গোটলা) ইলিশ মাছ মণপ্রতি বিক্রি হয়েছে ১৪ থেকে হাজার টাকা দরে।  

এদিকে শুক্রবার সকালের বাজারে ইলিশ কিনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন অনেকেই। যদিও বেশিরভাগ ক্রেতার অভিযোগ প্রচুর আমদানি হলেও তেমনভাবে কমেনি ইলিশের দর।

আর জেলা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা (হিলসা) ড. বিমল চন্দ্র দাস জানান, জেলেদের কথা মাথায় রেখেই বাজারে মাছের দাম মনিটরিং করা হচ্ছে। দাম একেবারে পরে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে জেলেরা। মাছ শিকারে তাদের নিরুৎসাহী করা যাবে না।  

আর যেভাবে মাছ আসছে তাতে এবছরও ইলিশের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে বলে জানান বিমল চন্দ্র দাস।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৯
এমএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।