ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মার্কোসারভুক্ত দেশে বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৯
মার্কোসারভুক্ত দেশে বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশ

ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশ বিশ্ববাণিজ্যে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। যার ধারাবাহিকতায় উরুগুয়েসহ মার্কোসারভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশ।

উরুগুয়ে সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি শুক্রবার (২৩ আগস্ট) মন্টিভিডিওতে উরুগুয়ের পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী রোডালফো নিন নোভোয়ার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে এ কথা বলেন বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।  

মন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ আমেরিকার বাণিজ্যিক জোট মার্কোসারভুক্ত (ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়ের সমন্বয়ে গঠিত) দেশগুলোতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বিপুল চাহিদা রয়েছে।

উচ্চ আমদানি শুল্কহারের কারণে বাংলাদেশ ওইসব দেশে পণ্য রপ্তানি করতে পাচ্ছে না। এ আমদানি শুল্কহার কমানোর বিষয়ে উরুগুয়ে সরকার পদক্ষেপ নিলে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানো সম্ভব।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও উরুগুয়ের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ খুবই সামান্য। উভয় দেশ উদ্যোগ নিলে এ বাণিজ্যের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো সম্ভব।

গত অর্থবছরে বাংলাদেশ উরুগুয়েতে ১১ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। একই সময়ে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ১৩ দশমিক ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তুলছেন। এগুলোর বাস্তবায়নের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ সরকার এখানে বিনিয়োগের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। উরুগুয়ের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন।

উরুগুয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোডালফো নিন নোভোয়ার সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন ও বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যসহ অন্যান্য বিষয়ে সম্পর্ক জোরদারের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের প্রস্তাবিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি মার্কোসারের আগামী শীর্ষ সম্মেলনে আলোচনার জন্য উত্থাপন করার ঘোষণা দেন তিনি।  

আমদানি শুল্ক হ্রাস বা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই হলে উভয় দেশই উপকৃত হবে বলেও বলেন তিনি। পারস্পরিক সম্পর্ক ও যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য সুবিধাজনক সময়ে তিনি বাংলাদেশ সফর করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির এ সফরের ফলে ব্যবসায়ী পর্যায়ে সফর বিনিময়, কৃষি, মৎস ও পশুপালন খাতে সহায়তা দেওয়া ও সাংস্কৃতিক দলের সফর শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ সফরে উরুগুয়ে সফরের জন্য ব্যবসায়ীদের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা এবং কূটনৈতিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের ভিসা অব্যাহতির বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।

উরুগুয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পর দেশটির অর্থমন্ত্রী ডানিলো আস্টোরির সঙ্গে বৈঠক করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে পোশাক, ওষুধ, পাট, জুতা, পস্টিক সামগ্রী অধিক পরিমাণে আমদানির জন্য উরুগুয়েকে অনুরোধ জানান। বাংলাদেশের চমৎকার বিনিয়োগ পরিবেশ ও বিভিন্ন প্রণোদনাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্যও তিনি উরুগুয়েকে অনুরোধ করেন।

উরুগুয়ের অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে অধিক বাণিজ্যের ওপর জোর দেন। এছাড়া, বাংলাদেশের প্রস্তাবিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি যেন মার্কোসারের আগামী শীর্ষ সম্মেলনে উত্থাপিত হয়, সে বিষয়েও উরুগুয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে মর্মে বাণিজ্যমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৯
এমআইএইচ/এসই/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।