ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

শিওর ক্যাশের কর্মীরা মায়েদের ঘুরায়, এটা যেন না হয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৯
শিওর ক্যাশের কর্মীরা মায়েদের ঘুরায়, এটা যেন না হয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে রূপালী ব্যাংকের চুক্তি সই। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রূপালী ব্যাংকের শিওর ক্যাশের মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দিতে যেন কোনোরকম দুর্নীতি না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।

বুধবার (৪ সেপেটম্বর) সচিবালয়ে চলতি অর্থবছরের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে রূপালী ব্যাংকের চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করেন।

মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএফএম মনজুর কাদির, রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ, শিওর ক্যাশের প্রধান নির্বাহী শাহাদাত খানসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. বদিয়ার রহমান ও রূপালী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম চুক্তি সই করেন।

উপবৃত্তি দিতে প্রদান শিক্ষকদের দুর্নীতি বিভিন্নভাবে এসেছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখানে সামাজিক বিভিন্ন ধরনের চাপ আমরা লক্ষ্য করেছি। আজ রূপালী ব্যাংকের মাধ্যমে সরাসরি মায়েদের হাতে টাকা দিচ্ছি, এটি যে কত বড় একটি দৃষ্টান্ত ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্পনা করা যায় না। এই টাকাটা নিয়ে আগে নানা ধরনের অপকর্মের কথা শোনা আছে, জানা আছে।

‘যেকোনো জিনিস নতুনভাবে করতে গেলে ভুল-ত্রুটি হবে। এই ভুল-ত্রুটিগুলো আপনারা লক্ষ্য করেছেন, আমি বিভিন্ন সেমিনারে দেখেছি মায়েরা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া করেছেন আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ঠিক করে দিয়েছি। এ ধরনের যেন না হয়। শিওর ক্যাশের যে কর্মীরা তারা বিভিন্ন ধরনের চিন্তা-ভাবনা করেন, মায়েদের ঠকায় বা ঘুরায়- এই জিনিসটা যেন না হয়। আপনারা লক্ষ্য রাখবেন। ’

উপবৃত্তির মাধ্যমে সুফল এসেছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজ মায়েরা তাদের সন্তানদের স্কুলে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে। ঝরে পড়ার হার কমে গেছে। এজন্য রূপালী ব্যাংককে ধন্যবাদ।

মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, এক কোটি ৪০ লাখ মাকে উপবৃত্তি দেওয়া পৃথিবীর আর কোনো দেশে নেই। কোনো করাপশন যেন না হয়, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিটি স্তরে নিশ্চিত করতে হবে।

‘কিছু কিছু ক্ষেত্রে লোকাল এজেন্টরা মায়েদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করে, এটা কোনোভাবে কাম্য নয়। রূপালী ব্যাংক ও শিওর ক্যাশ কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়গুলো দেখভাল করা উচিত। ’

সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী এটি নিয়ে গর্ব করেন উনি জাতিসংঘে ভাষণ দেন। অন্য রাষ্ট্রের জন্য অনুকরণীয় এটা। মায়েদের যেন সুন্দরভাবে টাকাটা পৌঁছে দিতে পারি, তাদের যেন কোনো সমস্যায় না পড়েন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, মোবাইল নম্বরের গণ্ডগোলের কারণে অভিযোগ এসেছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষকও হয়রানি করছে। আমি অনুরোধ করবো এটা সমাধানের ব্যবস্থা করবেন। অনিয়মগুলো যেন না হয়।  

রূপালী ব্যাংকের এমডি মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ৫১টি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো প্রাথমিক শিক্ষা নেটওয়ার্ক। আমরা অত্যন্ত গর্বিত।

শিওর ক্যাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত খান বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় এক কোটি মায়ের মধ্যে ৯৯ শতাংশ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে টাকা পাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই প্রকল্পের আওতায় এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৮ লাখ মায়ের মোবাইল ব্যাংক একাউন্ট খোলা হয়েছে এবং সরাসরি ডিজিটাল পদ্ধতিতে উপবৃত্তির টাকা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। রূপালী ব্যাংক শিওরক্যাশ গত তিন বছর ধরে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে। এর সুষ্ঠু বাস্তবায়ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও গণমাধ্যম দ্বারা প্রশংসিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা সিসিএপি (দ্য কনসাল্টিভ গ্রুপ টু অ্যাসিস্ট দ্য পুওর), পৃথিবীর সর্বাধিক প্রচারিত অর্থনৈতিক ম্যাগাজিন জাপানের নিক্কেই বিজনেস এবং সিঙ্গাপুর ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটি ম্যাগাজিন এর মধ্যে অন্যতম।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।