ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

গবাদিপশু-ভবন-ফ্ল্যাট বিমার আওতায় আনতে হবে: অর্থমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯
গবাদিপশু-ভবন-ফ্ল্যাট বিমার আওতায় আনতে হবে: অর্থমন্ত্রী

ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, দেশের বিমা কোম্পানিগুলো ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিমা খাতে বৈচিত্র আনতে হবে। এই খাত আগামীতে দেশের অর্থনীতিতে আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে। পর্যায়ক্রমে গবাদিপশু-বহুতল ভবন-অফিস ও ফ্ল্যাট এসব কিছুই ইন্সুরেন্সের আওতায় আনা হবে।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে বিমা প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মুস্তফা কামাল বলেন, বিমা খাতের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে নানা আলোচনা হয়েছে।

তারাই বলেছেন, বিমা আগের অবস্থানে নেই। বিমা খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিমা খাতটিকে কীভাবে আরও বৈচিত্রময় করা যায়, কীভাবে আরও নতুনত্ব আনা যায়, সেই বিষয়ে আলাপ করেছি। আমাদের যেই যেই জায়গায় ইন্সুরেন্স কাভারেজ নেই, সেইগুলোকে ইন্সুরেন্সের আওতায় আনতে হবে।  

‘আমরা সবাই কোনো না কোনো বাসায় থাকি, ফ্ল্যাটে থাকি। তাদের দাবি, ফ্ল্যাটগুলোর ইন্সুরেন্স বাধ্যতামূলক করা। আমরা যে অফিসে থাকি সেটার ইন্সুরেন্স আছে কিনা, আমরা জানি না। তাদের দাবি, সেগুলোও ইন্সুরেন্সের আওতায় আনা। ’

অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদেশে শুধু মানুষ ও প্রোপার্টি নয়, কুকুর-বিড়ালেরও ইন্সুরেন্স আছে। আমাদের দেশকে যদি শক্তিশালী দেশ হিসেবে গড়তে হয়, তবে দেশের প্রত্যেকটা কম্পোনেন্টকে মনের মাধুরি মিশিয়ে সামনে নিতে হবে। আমাদের দুর্ঘটনা ইন্সুরেন্স কাভার করতে হবে, অফিসের গাড়ির ইন্সুরেন্স করতে হবে, প্রত্যেকটা উঁচু -নিচু বিল্ডিং ইন্সুরেন্সের আওতায় আনতে হবে। মানুষ যে বাড়িতে ঘুমায়, সেই বাড়িগুলোও শতভাগ ইন্সুরেন্সের আওতায় আনতে হবে।

বিমা খাতের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বিমা খাতে আমরা অনেক গতিশীলতা নিয়ে এগোচ্ছি। আমরা সঠিক পথে আছি, জাতির পিতার নির্দেশিত পথেই প্রধানমন্ত্রী আমাদের নিয়ে যাচ্ছেন। অর্থনীতিতে পুঁজিবাজার যেমনিভাবে মৌলিক এলাকা, ঠিক তেমনিভাবে বিমা খাতও মৌলিক এলাকা। আগে বিমা খাত নিয়ে অনেক দুঃখ করতাম। কারণ এটা নিয়ে অনেক অপপ্রচার হত।  

এই খাত জনমনে আস্থার সংকটে ভুগতো। কিন্তু এখন এটা কেটে গেছে। এখন তিন কিংবা ছয় মাসেও আপনারা একটাও নিউজ পাবেন না যে, বিমা নিয়ে কোনো দুর্ভাবনা আছে। আগে বিমা নিয়ে অহরহ নেতিবাচক কথা শুনতাম। এখন কিন্তু কিছুই শুনিনা। এটা একটা ভালো দিক। ’

আরও পড়ুন>>>২৮ কোম্পানি পুঁজিবাজারে না এলে সনদ বাতিল: অর্থমন্ত্রী

মন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিটা জায়গা আমরা যদি ইন্সুরেন্সের আওতায় আনতে পারি, তাহলে সেটি আমাদের অর্থনীতিতে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে। তাই বিমা কোম্পানির দাবিগুলোর জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। বিমা খাতকে অর্থনীতির জন্য কাজে লাগাতে হবে।  

মুস্তফা কামাল বলেন, পয়লা মার্চ জাতির পিতাকে স্মরণ করে জাতীয় বিমা দিবস পালন করা হবে। সেই দিন প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি পাওয়ার চেষ্টা করবো। আমরা সবার কথা শুনেছি। সবাইকে সমানভাবে সুযোগ দিয়েছি। সবার অংশগ্রহণে বিমা খাত অর্থনীতিতে আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম, বিমা কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান পাটোয়ারী, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) সভাপতি শেখ কবির হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯
এমআইএস/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।