ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ধনীদের নিয়ে গবেষণার সময় হয়েছে: আনু মুহাম্মদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯
ধনীদের নিয়ে গবেষণার সময় হয়েছে: আনু মুহাম্মদ

ঢাকা: দেশের ধনিক শ্রেণী আলাদিনের চেরাগের কল্যাণে রাতারাতি ধনী হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আনু মুহাম্মদ বলেছেন, বাংলাদেশে দারিদ্র্য নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। এখন আমাদের ধনীদের নিয়ে গবেষণা করার সময় হয়েছে। 

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস মিলনায়তনে অর্থনীতি বিভাগ আয়োজিত ‘দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং সরকারি নীতি: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি একথা বলেন। বিভাগের সভাপতি ড. মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষণা পরিচালক ড. বিনায়ক সেন।

ড. আনু মুহাম্মদ বলেন, বাংলাদেশে দারিদ্র্য নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। এখন আমাদের ধনীদের নিয়ে গবেষণা করার সময় হয়েছে। ধনীদের নিয়ে গবেষণা করা একটু কঠিনই। কেননা আমাদের দেশের ধনী শ্রেণী আলাদিনের চেরাগের কল্যাণে রাতারাতি ধনী হয়ে যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ধনিক শ্রেণীর সঙ্গে আমাদের দেশের ধনিক শ্রেণীর তুলনা করা যেতে পারে। কেননা তাদের যে জীবনযাত্রার স্টাইল আমাদের ধনীদের মাঝেও একই প্রবণতা লক্ষ্যণীয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখনো অবাধ বাণিজ্য গড়ে ওঠেনি। তবে আশার কথা হচ্ছে, আমাদের দেশে বর্তমানে দারিদ্র্যের হার কমেছে। ১৯৯১ সালে যেখানে এই হার ছিল ৪৪ শতাংশ, ২০১৬ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ শতাংশে। আবার দারিদ্র্য থেকে যারা বেরিয়ে আসছে, তারা সবাই কিন্তু আবার মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে পড়ছে না। এর ফলে দেশে কোনো দুর্যোগ হলে বা কোনো আকস্মিক বিপর্যয় দেখা দিলে এদের জীবনযাত্রা আবার নিচে নেমে যেতে পারে।  

আয় বৈষম্যের দিক থেকে বর্তমানে বাংলাদেশ আমেরিকার সঙ্গে সমান্তরালভাবে অবস্থান করছে বলেও মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ারুল হক শরীফ। নির্ধারিত বিষয়ের ওপর আলোচনায় অংশ নেন ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের প্রধান শেখ আলাউদ্দিন, আইন বিভাগের প্রধান দেওয়ান মো. আল-আমিন ও স্থাপত্য বিভাগের প্রধান মৌসুমী আহমেদসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকগণ।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, দারিদ্র্য ও বৈষম্য থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হলো সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চালু করা। দরিদ্র শ্রেণীর মানুষের আয়ের ৩ শতাংশ আসে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি থেকে। এ কর্মসূচি যদি প্রকৃত টার্গেট গ্রুপের কাছে যেতো তাহলে আমাদের দেশের দারিদ্র্য কমে আসতো ৩ শতাংশে।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক, কর্মকর্তা ছাড়াও বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯
এসই/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।