ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ইলিশে ঠাসা চাঁদপুরের মাছঘাট

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯
ইলিশে ঠাসা চাঁদপুরের মাছঘাট

চাঁদপুর: চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মাছঘাটের প্রায় সব আড়ৎই ইলিশ মাছে ঠাসা। বড় বড় ট্রলার ও ট্রাকে করে হাজার হাজার মণ ইলিশ নামছে ঘাটে। হাঁক-ডাক দিয়ে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। আবার খুচরা ক্রেতাদের সংখ্যাও কম নয়। ঘাটের প্রত্যেক আড়তের সামনে ইলিশের বড় বড় স্তূপ।

প্রতিমণ ইলিশ বিক্রি হচ্ছে সাইজ অনুসারে ১৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত। ইলিশের সঙ্গে অন্য মাছও বিক্রি হচ্ছে আড়ৎগুলোতে।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে মাছঘাটে গিয়ে দেখা যায়, দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা ট্রলারগুলো থেকে শ্রমিকরা টুকরিতে করে ইলিশ নামাচ্ছে। অন্য শ্রমিকরা বড় বড় স্তূপ করে ইলিশ সাজাচ্ছে। ডাকে বিক্রির হওয়ার পর বাক্স ভর্তি করা হচ্ছে অন্যান্য জেলায় পাঠানোর জন্য। ব্যবসায়ী, পাইকার ও খুচরা ক্রেতাদের ভিড়ে মাছঘাটে হাঁটার অবস্থা নেই।

ইলিশ কিনতে আসা ফরিদগঞ্জের রাসেল ও শামীম বাংলানিউজকে বলেন, আড়তে ইলিশের দাম বেশি। কারণ এখানে কম পরিমাণে ইলিশ কিনে কোনো লাভ হয় না। তারপরেও তাজা ইলিশ কেনার জন্য এসে অনেকেই ভিড় জমায় সবাই।

ভাই ভাই মৎস্য আড়তের মালিক আব্দুল আজিজ বাংলানিউজকে বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের পাশাপাশি গত কয়েকদিন চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ইলিশ আমদানি শুরু হয়েছে। যার ফলে এখন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ইলিশ ক্রয়-বিক্রয় চলছে। নদীতে পানি বৃদ্ধি ও বৃষ্টি হওয়ার কারণে ইলিশের আমদানি বেড়েছে। মা ইলিশের জন্য নিষেধাজ্ঞার পূর্ব পর্যন্ত আমদানি চলমান অবস্থায় থাকলে জেলে ও ব্যবসায়ী সবাই লাভবান হবে।

ইলিশে সয়লাবচাঁদপুর ইলিশ বাজার আড়তের ব্যবসায়ী রিপন খান বাংলানিউজকে বলেন, পদ্মা-মেঘনার রূপালী ইলিশের দাম একটু বেশি। ৫ থেকে ৬শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশের মণ ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। ৭শ’ থেকে ৯শ’ গ্রাম ইলিশের মণ ২৮ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। ১ কেজি ওজনের ইলিশের মণ ৩৮ থেকে ৪০ হাজার টাকা। আর আমদানি করা সাগরের ইলিশ প্রতিমণ লোকাল ইলিশের চাইতে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা কম।

আরেক ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল, ভোলা, আলেকজান্ডার, হাতিয়া থেকে আসা ইলিশ বড় বড় কয়েকটি আড়তে বিক্রি হয়। বাকী ইলিশ মাছ স্থানীয় জেলেদের আহরণ করা। প্রতিদিন কমপেক্ষ ৯ থেকে ১০ হাজার মণ ইলিশ ক্রয়-বিক্রয় হয়।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকি বাংলানিউজকে বলেন, গত কয়েকদিন জেলেদের জালে পদ্মা-মেঘনার ইলিশ ধরা পড়ছে। সাগরের প্রচুর পরিমাণে ইলিশ আমদানি হচ্ছে। চাঁদপুর, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইলিশ এখন সয়লাব। শহর ও গ্রামাঞ্চলের অলিতে গলিতে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। মাছঘাটের আড়ৎগুলোতে আসা ইলিশের মধ্যে ৬০ শতাংশ সাগরের, বাকী ৪০ শতাংশ লোকাল পদ্মা-মেঘনার ইলিশ। ২০১৮ সালে চাঁদপুরের ইলিশের উৎপাদন হয়েছে ৫ লাখ ১৭ হাজার মেট্টিক টন। এ বছর আশা করছি আগের চাইতে বেশি ইলিশ উৎপাদন হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।