ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কমেনি পেঁয়াজের ঝাঁজ, স্বস্তি আদা-রসুনে 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯
কমেনি পেঁয়াজের ঝাঁজ, স্বস্তি আদা-রসুনে 

ঢাকা: পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হওয়ায় ক্রেতাদের মধ্যে অস্বস্তি থাকলেও আদা ও রসুনে স্বস্তি ফিরেছে। সপ্তাহ ব্যবধানে প্রকারভেদে পাইকারি বাজারে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে আদা ও রসুনের দাম। দাম আরও কমবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তবে খুচরা বাজারে এর দাম কমেছে কেজিপ্রতি দুই থেকে পাঁচ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, আগারগাঁও তালতলা বাজার ও মিরপুর-১ নম্বরসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, এখন পেঁয়াজের বাজার কিছুটা বাড়তি অবস্থায় রয়েছে।

শ্যাম বাজারে দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৬২ টাকা, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৫৮ টাকা, বার্মার পেঁয়াজ ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে মিশর থেকে পেঁয়াজ এলে দাম কমবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।  

গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৭৫ টাকা, ইন্ডিয়ান ৬৫, বার্মার ৫৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে।   

শ্যাম বাজার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মাজেদ বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে মিশরে থেকে আসা পেঁয়াজ আগামী দুই/তিন (অক্টোবর) তারিখের মধ্যে আসার কথা রয়েছে। তখন পেঁয়াজের দাম কমবে বলে মনে করছি।

এদিকে, গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে রসুন ও আদার দাম কমেছে। এ দাম আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।

এ ব্যাপারে কারওয়ান বাজারের পাইকারি আদা ও রসুন ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, গত সপ্তাহে যে আদা আমরা ১২০ থেকে ১২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি, সেই আদা এখন ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। সব প্রকার আদা কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। শুধু আদা নয়, রসুনের দামও কমেছে।  

তিনি বলেন, চায়না রসুন ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। গত সপ্তাহ এটি ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি।
 
আমদানি বেশি হওয়ায় রসুন ও আদার দাম কমে গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকার শ্যাম বাজারের রুনা বাণিজ্যালয়ের মালিক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন।  

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে রসুন ও আদার প্রচুর আমদানি হয়েছে। আমদানির তুলনায় পণ্যের চাহিদা কম হওয়ায় দাম কমেছে।

ইলিয়াস বলেন, দাম বেশি কমে যাওয়াটা ঠিক না। ব্যবসায়ীদের সবার কাছেই রসুন ও আদা রয়েছে। তারা যদি সেটি সময় মত বিক্রি না করতে পারেন, তাহলে তাদের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার বাজারে চায়না রসুন ১২০ টাকা কেজি, দেশি রসুন ১৩০ টাকা, এক কোষা রসুন ২০০ টাকা, চায়না আদা ১১০ থেকে ১২০ টাকা, বার্মার আদা ১৩০ টাকা, থাইল্যান্ডের আদা ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা ও দেশি আদা ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে কেজিপ্রতি এসব পণ্য ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯
এসএমএকে/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।