ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘কেমিক্যাল পল্লী প্রকল্পে প্লাস্টিকের জন্যও জায়গা থাকবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০১৯
‘কেমিক্যাল পল্লী প্রকল্পে প্লাস্টিকের জন্যও জায়গা থাকবে’ মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ

ঢাকা: মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদীখানে বিসিক বাস্তবায়নাধীন কেমিক্যাল পল্লি প্রকল্পে পুরান ঢাকার ক্ষুদ্র প্লাস্টিক শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদা জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

তিনি বলেন, পুরান ঢাকা থেকে ঝুঁকিপূর্ণ প্লাস্টিক শিল্প কারখানা স্থানান্তরের জন্য এ সুযোগ দেওয়া হবে। একই সঙ্গে সরকার সম্ভাবনাময় প্লাস্টিক শিল্পখাতের বিকাশে সম্ভব সব ধরনের নীতি সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) শিল্প মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজিএমইএ) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির এক প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করতে এলে শিল্পমন্ত্রী এ কথা বলেন।

সাক্ষাতের সময় প্লাস্টিক শিল্পখাতের সম্ভাবনা ও সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ সময় দ্রুত প্লাস্টিক শিল্পনগরী প্রকল্প বাস্তবায়ন, একটি সময়োপযোগী প্যাকেজিং আইন প্রণয়ন, কেমিক্যাল পল্লিতে প্লাস্টিক সেক্টরকে অন্তর্ভুক্তকরণ, প্লাস্টিক শিল্পনীতি প্রণয়ন, প্লাস্টিক শিল্প উদ্যোক্তাদের দ্রুত পেটেন্ট নিবন্ধন দেওয়া এবং এখাতে পরিবেশ অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সমস্যা সমাধানের বিষয় আলোচনায় স্থান পায়।

সাক্ষাতের সময় বিপিজিএমইএ নেতারা পুরান ঢাকা থেকে প্লাস্টিক শিল্প-কারখানা স্থানান্তরের জন্য দ্রুত প্লাস্টিক শিল্পনগরী স্থাপনের দাবি জানান। তারা বলেন, এ নগরীর জন্য নির্ধারিত ৫০ একর জায়গা প্লাস্টিক শিল্প-কারখানা স্থানান্তরের জন্য যথেষ্ট নয়। প্লাস্টিককে পেট্রোকেমিক্যাল জাত পদার্থ বিবেচনা করে তারা কেমিক্যাল পল্লির জন্য নির্ধারিত ৩শ’ ১০ একর জমির মধ্যে ১শ’ একর জমি প্লাস্টিক শিল্প উদ্যোক্তাদের অনুকূলে বরাদ্দের দাবি জানান। তারা প্লাস্টিক পণ্যের মালিকানা সুরক্ষায় দ্রুত পেটেন্ট নিবন্ধন দিতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ সময় তারা প্লাস্টিক নীতিমালা প্রণয়নের জন্য অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে একটি খসড়া নীতি শিল্পমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে প্লাস্টিক শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। এ শিল্পকে রাজধানী থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে সরকার কাজ করছে। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় অগ্রাধিকারভিত্তিতে প্লাস্টিক শিল্পনগরী প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। খুব শিগগিরই প্লাস্টিক নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে।  

এক্ষেত্রে বিপিজিএমইএসহ প্লাস্টিক শিল্প সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের মতামত নেওয়া হবে।

সাক্ষাতের সময় বিপিজিএমইএ’র নবনির্বাচিত সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, সহ-সভাপতি কে. এম. ইকবাল হোসাইন ও কাজী আনোয়ারুল হক, সাবেক সভাপতি শামীম আহমেদ ও মো. ইউসুফ আশরাফ, পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস্ অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯ 
জিসিজি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।