ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অনমনীয় ঋণে অনুদানের পরিমাণ কমালো সরকার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১৯
অনমনীয় ঋণে অনুদানের পরিমাণ কমালো সরকার

ঢাকা: বৈদেশিক ঋণের গতি বাড়াতে অনমনীয় ঋণে অনুদানের পরিমাণ কমালো সরকার। আগে এ ধরনের ঋণে ৩৫ শতাংশ অনুদান পাওয়া গেলেও এখন থেকে পাওয়া যাবে ২৫ শতাংশ।

আর্থিক সক্ষমতা বাড়ার কারণে এ অবস্থা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, আগে আমরা অনুদানের পরিমাণটা দেখেই ঋণ নেওয়ার বিষয়টি চিন্তা করতাম।

কিন্তু এখন আমরা এটা ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করলাম।  

বুধবার (০২ অক্টোবর) সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এখন আমাদের দেশের অবস্থা ভালো। আমরা নিম্নআয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছেছি। তাই বৈদেশিক ঋণের ক্ষেত্রে অনুদান ৩৫ শতাংশ থাকলে আমরা অনেক সুযোগ সুবিধা পেতাম না। যেহেতু এখন আমরা গ্রাজুয়েট করছি তাই ঋণের ক্ষেত্রে ৩৫ শতাংশ অনুদানের জায়গায় ২৫ শতাংশ করছি।

অনুদানটা ৩৫ শতাংশ থাকলে ঋণ পাওয়ায় কোনো সমস্যা হতো কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঋণ পাওয়ার জন্য কোনো সমস্যা নেই। তবে আমাদের নিজস্ব বিবেচনার জন্য এ কাজটি আমরা করেছি। বিশ্বব্যাংক ও অন্যরাও এটা চায়, যেহেতু আমাদের অবস্থা ভালো হয়েছে।

জানা গেছে, বর্তমানে যেসব ঋণের অনুদানের পরিমাণ ৩৫ শতাংশের কম যেসব ঋণ অনমনীয় ঋণ হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু বাংলাদেশ নিন্মআয়ের দেশ থেকে উত্তরণের ফলে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশ বাংলাদেশকে যে ঋণের সুদ হার বৃদ্ধি করছে ফলে ৩৫ শতাংশের কারণে ঋণগুলো অনমনীয় হয়ে যাচ্ছে। এবং চুক্তি স্বাক্ষরের আগে অনমনীয় ঋণ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন হতো। ফলে সার্বিক বৈদেশিক ঋণ আহরণের গতি শ্লত হওয়ার আশংকা রয়েছে। এছাড়াও ওইসিডি মডেল অনুযায়ী ঋণের অনুদানের পরিমাণ ২৫ শতাংশের কম হলে তা অনমনীয় ঋণ হিসাবে গণ্য হয়। তাই ইআরডি অনমনীয় ঋণে অনুদান ৩৫ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করে।  

অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, যেসব ঋণে অনুদানের পরিমাণ ৩৫ শতাংশ, সেসব ঋণ অনমনীয় ঋণ হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু বাংলাদেশ নিম্নআয়ের দেশ থেকে উত্তরণের ফলে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশ বাংলাদেশকে দেওয়া ঋণের সুদহার বৃদ্ধি করেছে। তারপরও ৩৫ শতাংশ অনুদানের ফলে ঋণগুলো অনমনীয় হয়ে যাচ্ছে এবং চুক্তি স্বাক্ষরের আগে ‘অনমনীয় ঋণ বিষয়ক স্থায়ী কমিটি’র অনুমোদন প্রয়োজন হচ্ছে। ফলে সার্বিকভাবে বৈদেশিক ঋণ আহরণের পরিমাণ শ্লথ হওয়ার আশংকা দেখা দিচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৯ 
জিসিজি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।