আড়তদারদের অনেকেই দোকানের এক পাশে মিয়ানমারের পচা পেঁয়াজের বস্তা ফেলে রেখেছেন। তারা বলছেন, বস্তা খুলে এসব পেঁয়াজের কিছু ফেলে দিতে হবে।
এদিকে, পেঁয়াজ সংকট কাটাতে আমদানি করে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা হলেও দাম কমেনি এখনও।                                          মিসর-মিয়ানমারের পেঁয়াজ বাজারে এসেও কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি ব্যবসীদের মজুত কূটকৌশলের কারণে। 
 বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) রাজধানীল শ্যাম বাজারে পেঁয়াজের আড়ৎগুলো ঘুরে এমন চিত্র বাংলানিউজের চোখে পড়ে।  জানা যায়, এখানের আড়ৎগুলোতে দুইদিন আগে (০১ অক্টোবর রাতে) মিয়ানমার ও মিসরের আমাদানি করা পেঁয়াজ আসে।  কিন্তু আড়তে মাল খালাস করার পরপরই বিক্রেতাদের চোখে পড়ে পচা ও গাছ বের হওয়া পেঁয়াজ অনেক।  এর পরপরই তারা অর্ধেক দামে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেন বলে জানান।  এছাড়া অনেক পেঁয়াজ ফেলে দেওয়ার জন্য আড়ৎ থেকে বাইরে রেখেছেন।
বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) রাজধানীল শ্যাম বাজারে পেঁয়াজের আড়ৎগুলো ঘুরে এমন চিত্র বাংলানিউজের চোখে পড়ে।  জানা যায়, এখানের আড়ৎগুলোতে দুইদিন আগে (০১ অক্টোবর রাতে) মিয়ানমার ও মিসরের আমাদানি করা পেঁয়াজ আসে।  কিন্তু আড়তে মাল খালাস করার পরপরই বিক্রেতাদের চোখে পড়ে পচা ও গাছ বের হওয়া পেঁয়াজ অনেক।  এর পরপরই তারা অর্ধেক দামে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেন বলে জানান।  এছাড়া অনেক পেঁয়াজ ফেলে দেওয়ার জন্য আড়ৎ থেকে বাইরে রেখেছেন। 
এখানে পাইকারি ৩০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে মিয়ানমারের পেঁয়াজ।  আর মিসর থেকে আসা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি।  অন্যদিকে, দেশি পেঁয়াজ, যেটা ফরিদপুরের বলেই সবাই কিনছেন, এটা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি।  আর ভারতীয় মোটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৮ টাকার মধ্যে। 
 এছাড়া এ বাজারে পাইকারি দেশি রসুন (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২৫ টাকা কেজি দরে।  চায়না রসুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা।  আর আদা বিক্রি হচ্ছে ১১৩ থেকে ১১৫ টাকার মধ্যে।
এছাড়া এ বাজারে পাইকারি দেশি রসুন (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২৫ টাকা কেজি দরে।  চায়না রসুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা।  আর আদা বিক্রি হচ্ছে ১১৩ থেকে ১১৫ টাকার মধ্যে। 
সূত্র বলছে, মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ পচাসহ নিম্ন মানের হলেও অনেক ব্যবসায়ীই নীরব রয়েছেন। আবার অনেকে বলছেন, মানহীন পেঁয়াজ হওয়া সত্ত্বেও সরকারের চাপের কারণে এসব আমদানি করা হয়েছে। যদিও অনেক ব্যবসায়ী এতে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত লোকসানে পড়বে।
এ বিষয়ে এখানকার পবিত্র ভাণ্ডারের ম্যানেজার বাপল সাহা বাংলানিউজকে বলেন, অনেক আমদানিকারককে সরকার চাপ দিয়েছে পেঁয়াজ আমদানি করতে।  এর ফলে তারা কোনো বাছ-বিচার ছাড়াই আমদানি করেছেন এসব পেঁয়াজ।  বাজারে পেঁয়াজের সংকট কাটাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব পেঁয়াজ আমদানি করা হয়।  পর্যাপ্ত কোনো সময় ছিল না ভালো করে দেখার। 
 তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের প্রায় সবগুলো থেকেই গাছ বা চারা বের হয়ে গেছে।  এছাড়া মোট পেঁয়াজের প্রায় ২৫ শতাংশ এসেছে পচা।  এজন্য আমাদের অনেক পেঁয়াজ ফেলে দিতে হয়েছে।  অনেকেই আবার অর্ধেক দামে বিক্রি করছেন।  এই পেঁয়াজে শতভাগ লোকসান হবে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন।
তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের প্রায় সবগুলো থেকেই গাছ বা চারা বের হয়ে গেছে।  এছাড়া মোট পেঁয়াজের প্রায় ২৫ শতাংশ এসেছে পচা।  এজন্য আমাদের অনেক পেঁয়াজ ফেলে দিতে হয়েছে।  অনেকেই আবার অর্ধেক দামে বিক্রি করছেন।  এই পেঁয়াজে শতভাগ লোকসান হবে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন। 
তার মতো একই কথা জানালেন আলী ট্রেডার্সের ম্যানেজার শামসুর রহমান। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, মিসর থেকে ফ্রেশ পেঁয়াজ এলেও মিয়ানমারের গুলোর মান খুবই খারাপ। এসব পেঁয়াজে গাছ বের হওয়ার পাশাপাশি পচার মিশ্রণও রয়েছে। ফলে লোকসানেই পেঁয়াজ ছাড়তে হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৯
ইএআর/টিএ


 
                                                     
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                