শুক্রবার (০৪ অক্টোম্বর) সকাল থেকে এ ছুটি কার্যকর হবে।
ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বাংলানিউজকে জানান, পূজা উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাঁচদিন বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ রাখবেন।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) প্রদোষ কান্তি দাস বাংলানিউজকে জানান, ভারতে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পূজার সময় বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দর সপ্তাহে ছয়দিন ২৪ ঘণ্টা বাণিজ্যের আওতায় চলছে। এখানে সরকারি ছুটির দিন ছাড়া অনান্য দিন বন্দর খোলা থাকবে। এসময় ব্যবসায়ীরা যদি পণ্য খালাস নিতে চায় দেওয়া হবে।
বেনাপোল কাস্টম চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা নাসিদুল হক বাংলানিউজকে জানান, আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বন্দরে লোড-আনলোড ও কাস্টমসে কাজ চলবে। ৯ অক্টোবর সকাল থেকে পুনরায় এই পথে আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাসিন খান জানান, এ পথে পূজার সময় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও যাত্রী সেবায় দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল সিআ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, ভারতীয় ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে তারা বাণিজ্য বন্ধের বিষয়টি তারা জানতে পেরেছেন।
এদিকে, টানা পাঁচদিন বাণিজ্য বন্ধ থাকায় বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরের দু’পাশে প্রায় সহস্রধিক পণ্যবাহী ট্রাক আটকে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে। এ পণ্যের বাজার মূল্য কয়েক হাজার কোটি টাকা। বন্ধের সময় ব্যবসায়ীরা তাদের আমদানি-রপ্তানি পণ্যের নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৯
এনটি


 
                                             
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                