গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে রাজধানীর বাজারগুলোতে। এ নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকায় সেখানে বাড়তি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।
এদিকে ক্রেতারা বলছেন, বাজারে কোনো পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। এছাড়া বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজে ভরা। এখানে পেঁয়াজের দামতো বাড়ার কোনো কারণ নেই।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, মালিবাগ, মালিবাগ রেলগেট বাজার, খিলগাঁও এবং ফকিরাপুল কাঁচা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
এ সব বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা থেকে ১১৫ টাকা কেজি দরে, আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, আমদানি করা মিশরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। অথচ এক সপ্তাহ আগে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮৫ টাকা থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে, আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, আমদানি করা মিশরের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে।
বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ থাকলেও এর বাড়তি দাম যেন মানতে পারছেন না ক্রেতারা। তাদের অভিযোগ বাজারে পেঁয়াজে ভরপুর। এছাড়া আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে আসছে প্রতিনিয়ত সেক্ষেত্রে দর বাড়ার কোনো কারণই নেই।
এ বিষয়ে এস এম শরিফুল নামে এক ক্রেতা বলেন, গত দুই-তিন সপ্তাহ আগে পেঁয়াজের ঘাটতি থাকায় সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করায় দামও কমে যায়। কিন্তু হঠাৎ করে আবার পেঁয়াজের দর বাড়ার কোনো কারণ দেখি না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। তবে দাম বাড়ানোর পেছনে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট জড়িত।
এ ক্রেতার অভিযোগের সঙ্গে একমত না শান্তিনগর বাজারের ব্যবসায়ী হাবিব। তিনি বলেন, দেশি পেঁয়াজের ঘাটতি রয়েছে বাজারে। এ জন্য দাম বাড়তি। যেহেতু এ পেঁয়াজের ঘাটতি রয়েছে। এ জন্য অন্য সব পেঁয়াজের দরও বাড়তি রয়েছে। তবে সরবরাহ বাড়লে আবারও দাম কমবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি অব্যাহত রেখেছে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। সেখানে কেজিপ্রতি ৪৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। একজন ক্রেতা টিসিবির ট্রাক সেল থেকে সবোর্চ্চ দুই কেজি পর্যন্ত পেঁয়াজ কিনতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৯
ইএআর/আরআইএস/