এর আগে আরও অনেকগুলো বেসরকারি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছে আইএফসি। যার ফিরতি বেশ ভালো।
এদেশের বেসরকারি খাতের উন্নয়নে বিনিয়োগ আরও বাড়াতে চায় সংস্থাটি। ফলে বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের পরিধি আরও বাড়বে বলে মনে করছে সরকার।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক সভায় আইএফসির সঙ্গে বৈঠক করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আইএফসি বিশাল বিনিয়োগ ঘোষণা দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ আকার এক হাজার বিলিয়ন ডলার। এর আগে কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আইএফসির ঋণ নিয়ে কাজ করছে। সামনে অন্য কোম্পানিগুলো আইএফসির বিনিয়োগ লুফে নিতে পারে। ঋণে সুদহার ১০ শতাংশের কম হবে।
একই দিনে ইউএসএইড-এর প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী। ইনকাম ট্যাক্স কালেকশন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ইউএসএইড সহায়তা করবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ বলেন, আমি কয়েকটি মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেছি। একটা জিনিস হয়েছে এবার। আমাদের সঙ্গে যারাই সাক্ষাৎ করেছে বিশ্বব্যাংক থেকে শুরু করে সবাই বলেছে আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে। সবাই স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ সঠিক পথে রয়েছে। সবার কাছ থেকে একটা স্পষ্ট মেসেজ ছিল, সবাই বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে চায়। এটা আমাদের জন্য বড় মেসেজ।
‘বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে বাড়তি ঋণ দিতে উন্মুখ। সংস্থাটির অঙ্গভুক্ত প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) ২০১৮ এর মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২০ সালে। তিন বছরে এ প্যাকেজের আওতায় সংস্থাটির প্রতিশ্রুতি ছিল ৪ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ সরকার সক্ষমতার কারণে এই ঋণ খরচ করে ফেলেছে। আইডিএ-১৯ এ আমরা ভালো সহযোগিতা পাবো। এটা কিন্তু আমাদের চাওয়া ছিল না, এটা বিশ্বব্যাংকের রিজিওনাল যে উইংটা আছে তারা নিজেরা চেষ্টা করছে। এবারই আমাদের সবচেয়ে বড় সহযোগিতা আসবে বিশ্বব্যাংক থেকে।
***বাংলাদেশের পুঁজিবাজারেও নজর বিশ্বব্যাংকের
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৯
এমআইএস/এএ