শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত ‘ফস্টারিং গ্লোবাল ফ্রি ট্রেড রিলেশনস’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারটি আয়োজন করে কমনওয়েলথ অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেট-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিআইএস-বিসিসিআই)।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. হাবিব উল্লাহ ডনের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব নজিবুর রহমান, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার আই ইগনোটভ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
টিপু মুনশি বলেন, রাশিয়া এবং ব্রাজিলে ৫০ কোটি মানুষ আছে। এই বাজারটি যদি ফ্রি ট্রেড চুক্তির মাধ্যমে ধরতে পারি, তাহলে আমাদের হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ব্রাজিল আমাদের তৈরি পোশাক নিতে চায়। তবে তারা গরুর গোশত দিতে চায়। এটি একটি সমস্যা। গরুর গোশত নিলে কী পরিমাণ লোকসান হলেও তৈরি পোশাক দিয়ে কী পরিমাণ লাভ হবে, তা আমাদের বের করতে হবে।
সমন্বয়ের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের ব্যালেন্স কর্মসূচির মাধ্যমে এগোতে হবে। রাজস্ব আদায় অবশ্যই করতে হবে। কিন্তু সেটা জোর-জবরদস্তি করে নয়।
ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত একটি দেশের সঙ্গেও ফ্রি ট্রেড চুক্তি করতে পারিনি। এতে আমাদের পণ্য দেশের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। এছাড়া শ্রমিক অধিকার বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক নীতি সবদেশে প্রয়োগের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে হবে। অন্যথায় আমরা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আগে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) ভোটার ছিল পাঁচ হাজার। এখন এক হাজার নয়শ’ জন। এতে বোঝা যায়, অনেক ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গেছে। যারা টিকে আছে সবাই সেরার সেরা। তাই আমাদের মান নিয়ে প্রশ্ন নেই। বাণিজ্যের যে বাধাগুলো আছে, সেগুলো দূর করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. নজিবুর রহমান বলেন, সরকার সমতার ভিত্তিতে কাজ করছে। ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্টের (এফটিএ) জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার আই ইগনোটভ জানান, পারস্পরিক বাণিজ্যে উন্নয়নের জন্য তার সরকার আন্তরিক। এজন্য সব ধরনের সহযোগিতা তারা করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৯
ইইউডি/এসএ