রোববার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের (বিআইজিএম) সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত পলিসি এনালাইসিস কোর্সের সপ্তম ব্যাচের সেমিনার ও সনদ বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, একটি বিষয় নিয়ে আমাকে প্রায়ই শুনতে হয়, আমাদের বৈষম্য ও প্রবৃদ্ধি আয় বাড়ছে।
‘আমরা বোবা কানা না। আমরা দেখছি উন্নয়নের প্রাথমিক পর্যায়ে বৈষম্য দূর করা যাবে না। এটা কিছু সময় চলবে। তবে বৈষম্য বাড়ার কারণে চিন্তার বিষয় থাকলেও ভয় পাওয়ার বিষয় নেই। আগে যাদের নিছক খাবারের অভাব ছিল এখন তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বৈষম্য মোকাবেলায় বিভিন্ন বিধি-বিধান খুঁজে বেড়ানো হচ্ছে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠী ও অবকাঠামো খাতে আমরা ব্যয় করছি, শিক্ষাতে আমরা ব্যয় করছি। যেন বৈষম্য দূর করে সবাই একসঙ্গে এগোতে পারি। আমরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করছি। তাই বিশ্বের সবাই বলছে- আমরা ভালো কাজ করছি। ’
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার মান নিয়ে খুবই চিন্তিত। সরকারও চিন্তিত। আমরাও চিন্তিত। আমরা যারা আছি তারা এ বিষয়ে প্রশিক্ষিত নই। আপনারা শিক্ষক যারা আছেন আপনাদের কাছ থেকেই আইডিয়া চাই, পথনির্দেশনা চাই। যেন আমরা শিক্ষায় বেশি করে কন্ট্রিবিউট করতে পারি। অর্থের যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে কিনা। টাকা আমরা কম দিচ্ছি বা বেশি দিচ্ছি এটা বড় কথা নয়। যতটুকু দিচ্ছি তা সঠিকভাবে ব্যয় হচ্ছে কিনা তার থেকে আমরা সঠিক ফল পাচ্ছি কিনা সেটাই দেখার বিষয়। তবে সরকার বিষয়টা নিয়ে মোটেও অবহেলা করছে না। সবার সহযোগিতা নিয়ে আমরা আগামীতে একটি নতুন ধারণা আনার চেষ্টা করছি।
বিজিআইএম এর বোর্ড অফ ট্রাস্টের চেয়ারপারসন মো. মতিউল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিপিএটিসির সচিব মো. রাকিব হোসেন, অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব ফারহিনা আহমেদ, পলিসি এনালাইসিস কোর্সেস কো-অরডিনেটর প্রণব চক্রবর্তী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৯
এসএমএকে/এইচএডি