বিবিএস’র দাবি, সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে মাছ, শাক-সবজি ও ফল জাতীয় পণ্যের মূল্য কমেছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি বলেন, পেঁয়াজ যন্ত্রণা (মূল্য বাড়া) থাকা সত্ত্বেও সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে। পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, তবে সবজি, মাছ ও ফলমূলসহ অন্যান্য পণ্যের দাম কমেছে।
বিবিএস’র হালনাগাদ তথ্যে জানানো হয়, ২০১৯ সালের অক্টোবরে পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। অক্টোবরে খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ হয়েছে। সেপ্টেম্বরে এই খাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৭৩০ শতাংশ।
বিবিএস’র তথ্যানুযায়ী, বছরওয়ারি পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে মে-তে ডাল, চিনি, মুড়ি, মাছ-মাংস, ব্রয়লার মুরগি, ফল, তামাক, দুধজাতীয় পণ্য এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর দাম বেড়েছে। এছাড়া মাসওয়ারি ডিম, শাক-সবজি ও মসলা জাতীয় পণ্যের দামও বেড়েছে।
এদিকে অক্টোবরে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। বাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থলী, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবাখাতের মূল্যস্ফীতির হার কমেছে।
অক্টোবরে গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ। যা আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৪১ শতাংশ। এর মধ্যে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশে, (সেপ্টেম্বরে ছিল ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ)। আর খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ (সেপ্টেম্বরে ছিল ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ)।
অন্যদিকে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে এটি ছিল ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। শহরে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক শূন্য ৩১ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ১০ শতাংশ। আর খাদ্য বহিভূর্ত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৬ দশমিক ০৯ শতাংশ, যা এর আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৬১ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
এমআইএস/এসএ