মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ে কৃষিমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত চিলির রাষ্ট্রদূত জুয়ান অ্যাংগুলো সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান। এসময় কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামন, চিলি’র প্রতিনিধি দলের কনস্যুলার আসিফ এ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০১৩ সালে চিলি বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত এবং কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়। মূলত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করাই এর লক্ষ্য ছিল। বাংলাদেশ থেকে চিলিতে রপ্তানি করা পণ্যের ৯৩ শতাংশ ছিল বস্ত্রশিল্প এবং তৈরি পোশাক। বাকি পণ্যের মধ্যে ছিল পাটতন্তু, জুতা, ওষুধ প্রভৃতি।
চিলির রাষ্ট্রদূত জুয়ান অ্যাংগুলো কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তির বিষয় দ্রুত কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে স্বল্পতম সময়ে স্বল্পোন্নত ও নিম্ন আয়ের দেশ বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল ও মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাহসী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের প্রশংসাসহ অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়ন তথা মেয়েদের শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্যসেবা, কারিগরি শিক্ষা ইত্যাদিতে বিনিয়োগের ফলে সার্বিক আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের অগ্রগামী অবস্থানেও চিলির রাষ্ট্রদূত বেশ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
চিলির রাষ্ট্রদূত বলেন, চিলি কৃষিখাতে বেশ ভালো। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের কৃষিখাতে সহায়তার ক্ষেত্র রয়েছে। এছাড়াও পর্যটন, প্রাকৃতিক সম্পদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সামুদ্রিক সম্পদ, সামুদ্রিক সুরক্ষাসহ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নিয়মিত পরিদর্শন সম্পর্ককে জোরাল করবে।
চিলি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ৬৩.৭ মিলিয়ন ডলারের বিভিন্ন পণ্য আমদানি করেছে। অপরদিকে বাংলাদেশ ২২ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। এর মধ্যে ছিল লোহা ও স্টিল। চিলি বাংলাদেশের ফাইটোস্যানিটারি সিস্টেম উন্নতিতে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস