বুধবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় জিপি হাউজে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রায় সাড়ে চার মাসব্যাপী এ আয়োজনের উদ্বোধন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, উদ্যোক্তা তৈরি করার সুনির্দিষ্ট কোনো কারিকুলাম নেই। জাতিগতভাবে আমরা ঝুঁকি নিতে অভ্যস্ত। নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন নতুন আবিষ্কার করি আমরা। আমাদের কাজটা হচ্ছে শুধু নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দেওয়া। তারা যদি কোন কিছুতে ব্যর্থ হয়, তবুও তাদের অনুপ্রেরণা দেওয়া।
স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে পলক বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশে প্রায় ৫০ মিলিয়ন মধ্যম আয়ের গ্রাহক শ্রেণী আছে। আর ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আছে প্রায় ১০০ মিলিয়ন। অর্থ্যাৎ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ও সেবার এক বড় বাজার আমাদের আছে। আর সেখানে অ্যাপ বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে স্টার্টআপদের কাজের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোন সিইও মাইকেল ফলি বলেন, ডিজিটালাইজেশনের যুগে অবশ্যম্ভাবী পরিবর্তনগুলোর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য নিজেদের উপযোগী করে তোলাটাই আমাদের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের সব পর্যায়ের ডেভেলপার, উদ্ভাবক এবং স্টার্টআপগুলোকে সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা এক্সেলেটর প্রোগ্রামটি আয়োজন করে থাকি।
তিনি বলেন, এবারের আয়োজনে প্রাথমিকভাবে প্রায় এক হাজার ২০০ আবেদন পায় গ্রামীনফোন। বিভিন্ন দফায় বাছাই শেষে তাদের মধ্যে থেকে শীর্ষ নয়টি দল নিয়ে আয়োজিত হতে যাচ্ছে জিপি এক্সেলারেটর ৬। বরাবরের মতো এবারের আয়োজনেও টার্মশিট, ভ্যালুয়েশন, ফিন্যান্সিয়াল মডেলিং, ব্র্যান্ডিং ইত্যাদি বিষয়ে গ্রামীণফোনের থেকে প্রশিক্ষণ পাবে স্টার্টআপ গুলো।
তিনি আরও বলেন, আয়োজনের শেষ পর্যায়ে স্টার্টাআপগুলোর ব্যবসার সক্ষমতা বাড়াতে বিনিয়োগ নিশ্চিত সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সহায়তা করবে প্রতিষ্ঠানটি। গ্রামীণফোনের দাবি এসব সহায়তা আর্থিক বাজারমূল্য প্রায় ৬৫ লাখ টাকার সমান।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৯
এসএইচএস/আরআইএস/