বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে খুলনা সিটি ইন হোটেলে বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ করদাতাতের সম্মাননা দেওয়া হয়।
২০১৮-১৯ করবর্ষে সর্বোচ্চ কর দাতা, তরুণ করদাতা, মহিলা করদাতা ও দীর্ঘ সময় ধরে নিয়মিত ভিত্তিতে করদাতা, এ চার শ্রেণীতে সম্মাননা দেওয়া হয়।
করদাতাতের অভিনন্দন জানিয়ে অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র বলেন, দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য সময় মতো ও সঠিক নিয়মে কর দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। ১৬ কোটি মানুষের দেশে কেবল ২৫ লাখ মানুষের কর দেওয়ার বিষয়টি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সময় মতো কর দিলে দেশের উন্নয়নও সঠিক সময়ে হবে। জাতীয় বাজেটের ৯০ শতাংশের যোগান দেয় দেশের মানুষ। সবাই ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে দেশের স্বার্থে ও আগামী প্রজন্মের কথা ভেবে কর দিলে দেশ সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০১৮-১৯ করবর্ষে খুলনা কর অঞ্চলে দুই হাজার ৪০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে, যা পূর্ববর্তী বছরের চেয়ে ৩২ শতাংশ বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে কর আদায়ের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা দুই হাজার ৮৪০ কোটি টাকার বিপরীতে প্রথম প্রান্তিকেই ৬২৯ কোটি টাকা আদায় হয়েছে, যা প্রথম চার মাসের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। এছাড়া ২৪ হাজার নতুন করদাতা সনাক্তকরণ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ইতোমধ্যেই ৩৪ হাজারে বেশি নতুন করদাতা টিআইএন নিবন্ধন করেছেন। এ নিয়ে খুলনা কর অঞ্চলের মোট টিআইএনধারীর সংখ্যা দাঁড়ালো প্রায় তিন লাখ ৬৫ হাজার।
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, আগামী ১৪ থেকে ২০ নভেম্বর খুলনা বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে সাত দিনব্যাপী আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হবে। রিটার্ন জমা, নতুন টিআইএন গ্রহণ, ব্যাংকের বুথসহ সংশ্লিষ্ট সব সেবা ওই মেলাতেই পাওয়া যাবে।
খুলনা কর অঞ্চলের কর কমিশনার প্রশান্ত কুমার রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- খুলনা কর অঞ্চলের অতিরিক্ত কর কমিশনার অঞ্জন কুমার সাহা। বিশেষ অতিথি ছিলেন- খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (মূসক নীতি) ড. আব্দুল মান্নান শিকদার, পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির, খুলনা কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার মো. মোস্তবা আলী, খুলনা কর অপীল অঞ্চলের কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম ও খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কাজি আমিনুল হক।
খুলনা বিভাগের সম্মাননা পাওয়া সেরা ৭৭ করদাতা হলেন- খুলনা সিটি করপোরেশনের মো. আবু বকর শেখ, সৈয়দ আবু নাসের, খান সাইফুল ইসলাম, মো. আব্দুল হামিদ সরদার, এস এম মনিরুজ্জামান শাহীন, কাজী সানোয়ার হোসেন ও মিজ সাবিত্রী আগরওয়ালা।
খুলনা কর সার্কেলের- মো. আব্দুল মজিদ সানা, মো. আনোয়ার ইকবাল, জিয়াউল আহসান, মো. শামীম আহসান, শেখ ইবাদত হোসেন, মো. নূর-এ-আলম সিদ্দিকী ও মিজ লায়লা আকতার।
সাতক্ষীরা কর সার্কেলের- বিশ্বজিৎ সাধু, মো. আবু হাসান, মো. আক্কাজ আলী, মো. আশিকুর রহমান (আশিক), দিপংকর কুমার ঘোষ, গোলাম আকবর ও মিজ নিলুফা ইয়াসমিন।
বাগেরহাট কর সার্কেলের- গৌর চন্দ্র সাহা, মিজ লিপিকা রানী দাস, রাম কৃষ্ণ বসু, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মীর রহমত আলী, মো. এখলাছুর রহমান ও মিজ পপি আক্তার।
যশোর কর সার্কেলের- মো. গোলাম মোরশেদ, মো. আনছারী হোসেন সোহেল, নিমাই চন্দ্র দত্ত, মো. নূর হোসেন, আবু নাসের সরকার, মো. তৌফিকুর রহমান ও মিজ রাফফাত আরা ডলি।
কুষ্টিয়া কর সার্কেলের- মো. ইবাদত আলী, মো. মজিবর রহমান, মো. মফিদুল ইসলাম খান, মো. পারভেজ রহমান, মিস সেলিমা বেগম, মো. জিয়াউল হক ও মিজ পারভীন রহমান।
মাগুরা কর সার্কেলের- খোন্দকার আমির হোসেন, মো. শাহীনুর রহমান পিকুল, মো. সামছুল হক, মকবুল হাসান মাকুল, মো. মেহেদী হাসান রাসেল, মো. ফয়সাল আহাম্মেদ ও ডা। সুপর্ণা আহমেদ।
নড়াইল কর সার্কেলের- মো. হুমায়ুন কবীর, এম এম রেজাউল আলম, আজিজুর রহমান ভুইয়া, মো. ওয়াহিদুজ্জামান, জাহিদুল ইসলাম, মো. ইমদাদুল ইসলাম ও মিজ উম্মে রেজওয়ানা।
ঝিনাইদহ কর সার্কেলের- সৈয়দ শাহজাহান আলী, মো. মিজানুর রহমান লিটন, মো. ফজলুল করিম মিন্টু, নিখিল কুমার পাল, শামিম হোসেন মোল্লা, মো. রাশিদুর রহমান ও ডা. মোছা. মারফিয়া খাতুন।
চুয়াডাঙ্গা কর সার্কেলের- মো. শহিদুল হক মোল্লা, দিলিপ কুমার আগরওয়ালা, মো. খোরশেদ আলম, মিস সবিতা আগরওয়ালা, মিস সাইফুন্নাহার আক্তার শাম্মী, আবু তাহের মো. হাসানুজ্জামান ও মিস আক্তারী জোয়ার্দার। মেহেরপুর কর সার্কেলের মো. গিয়াস উদ্দিন, অজয় সুরেকা, মো. আবুল কাশেম, মো. আব্দুল হান্নান, মো. আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, মো. আরিফ শেখ ও মিস হামিদা খানম।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
এমআরএম/এইচজে