বর্তমানে খুচরা ও পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দামের ব্যবধান ৭০ থেকে ৮০ টাকা। দুই বাজারে দামের বিস্তুর পার্থক্য নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
আর আমদানিকারকরা বলছেন, প্লেনযোগে মঙ্গলবারের মধ্যেই পেঁয়াজ আসলে দাম কমবে, নাহলে আরও বাড়তে পারে। তবে, দেশি পেঁয়াজ আসায় সপ্তাহের শেষদিকে বাজার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
রোববার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা ও পাইকারি বাজার ঘুরে এচিত্র উঠে এসেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর পাইকারি বাজার শ্যামবাজারে দেশি পেঁয়াজ ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি চলছে। মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৮০ থেকে ১৩০ টাকা আর মিশরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি দরে।
বিপরীতে, রাজধানীর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি চলছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে। মিয়ানমারের পেঁয়াজ ২০০ থেকে ২১০ টাকা ও মিশরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে।
বিক্রেতারা ইচ্ছামতো দাম রাখায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। তাদের মতে, নিয়মিত বাজার মনিটরিং আর সরকারি উদ্যোগ নিলে পেঁয়াজ বাজারে অস্থিরতা থাকতো না। দাম ক্রেতার নাগালেই থাকতো।
শান্তিনগর বাজারে জান্নাতুন নাঈম নামে এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, গত চার-পাঁচ মাস ধরেই পেঁয়াজের বাজার চড়া। কখনো দাম ১০ টাকা কমছে তো পরের দিন আবার ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দাম বাড়া-কমা নিয়ন্ত্রণ করলেও সরকারিভাবে বাজার মনিটরিং করা হয়নি।
তিনি বলেন, যেদিন ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলো, পরের দিনই দাম ৩০ টাকা থেকে ৬০ টাকা হয়ে যায়। অথচ, তখন বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি ছিল না। সরকারিভাবে তখন থেকেই উদ্যোগ নিলে বাজার অস্বাভাবিক হতো না।
শরিফুল ইসলাম নামে কারওয়ান বাজারের এক বিক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, পাইকারি বাজারে এখনো পেঁয়াজের দাম চড়া। সেখানে বাজার স্বাভাবিক হলে খুচরাতেও দাম কমে আসবে।
তবে, আশার কথা শোনাচ্ছেন আমদানিকারকরা। শ্যামবাজারের ব্যবসায়ী ও আমদানিকারক শংকর চন্দ্র ঘোষ বাংলানিউজকে বলেন, প্লেনযোগে মঙ্গলবারের (১৯ নভেম্বর) মধ্যেই পেঁয়াজ আসার কথা রয়েছে। আসলে বাজার অনেকটাই স্বাভাবিক হবে। এসময়ের মধ্যে পেঁয়াজ না পৌঁছালে দাম আরও বেড়ে যেতে পারে। তবে, চার-পাঁচ দিনের মধ্যে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে আসবে বলে আশা করছেন তিনি। তার মতে, দেশি নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠছে, একারণে দাম কমে আসবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৯
ইএআর/একে