এরআগে, শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল থেকে মেহেরপুরের বাজারে ২৪০ টাকা থেকে শুরু করে ২৫০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিলো। বিকেলে গাংনী বাজারে মনিটারিং দল ঢুকতেই সঙ্গে সঙ্গে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি শুরু করে খুচরা ব্যবসায়ীরা।
মেহেরপুর আড়ত ব্যবসায়ী খোকন বাংলানিউজকে জানান, পুরাতন পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে ২৩০ টাকা কেজির জায়গায় বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকা দরে। এরসঙ্গে নতুন মৌসুমের পাতাওয়ালা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি হিসেবে প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) ৭৫০ টাকায়।
তিনি বলেন, নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসায় অধিকাংশ ক্রেতাই সেই পেঁয়াজই কিনছে। তবে পাতার পরিমাণ বেশি এবং পেঁয়াজ গুটি ছোট থাকায় একেবারে পেঁয়াজ নির্ভর খাদ্যপণ্য তৈরি রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে পুরাতন পেঁয়াজ কিনতে বাধ্য হচ্ছে ক্রেতারা।
মেহেরপুর হালদারপাড়া এলাকার ক্রেতা নাজমুল হোসেন ও বজলুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, আজকে বাজারে নতুন পেঁয়াজ দেখে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলাম। নতুন পেঁয়াজ বাজারে পাতাসহ ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে পুরাতন পেঁয়াজও আগের তুলনায় দাম কিছুটা কমেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও বাজার মনিটারিং করা উচিত।
মেহেরপুর বাজার (কাঁচা বাজার) কমিটির সভাপতি আবু হানিফ বাংলানিউজকে বলেছেন, নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করায় এ সপ্তাহের মধ্যেই পুরাতন পেঁয়াজের দাম কমে যাবে। তবে এখনও চাহিদার তুলনায় আমদানির পরিমাণ কম। এছাড়া নতুন পেঁয়াজ আসার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকাসহ বাইরের বড় বড় ব্যবসায়ীরা জেলা থেকে উচ্চ মূল্যে কিনে নিয়ে ট্রাক বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে জেলার মানুষ নতুন পেঁয়াজ উঠলেও সহজেই সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়ার আশা কম।
সাধারণ সম্পাদক আ্দুস সামাদ বাংলানিউজকে বলেন, স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে মেহেরপুরের বাইরে পাঠালে এখানকার বাজারে পেঁয়াজের দাম মানুষের নাগালের মধ্যে থাকতো।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক আতাউল গনি বাংলানিউজকে জানান, মেহেরপুরের বাজারে নতুন পেঁয়াজ ওঠা শুরু হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে কেজিতে প্রায় ১০০ টাকা কমে গেছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই পেঁয়াজের মূল্য স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তবে চেষ্টা করা হবে মেহেরপুর থেকে যেনো এখনি কোনো পেঁয়াজ বাইরে না যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৯
এনটি