পেঁয়াজের পর হঠাৎ চালের বাজার চড়া হওয়ায় মিশ্র-প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে।
ক্রেতারা বলছেন, পেঁয়াজ সিন্ডিকেটের মতোই চালের বাজারেও সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারি চালের বাজারে প্রতিবস্তা মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ২২৫০ টাকায়, আটাশ চাল ১৭৫০ টাকা, নাজিরশাইল ২৩৫০ থেকে ৩১০০ টাকায়। অথচ মাত্র চারদিন আগে প্রতিবস্তা মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ২০৫০ টাকায়, আটাশ চাল ১৪৫০ টাকা, নাজিরশাইল ১৯৫০ থেকে ২৭০০ টাকায়।
অন্যদিকে রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতিকেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, নাজিরশাইল ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা, আটাশ ৪০ টাকা, ঊনত্রিশ ৩৮ থেকে ৪০ টাকা, স্বর্ণা চাল ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা, চিনিগুড়া ১০০ টাকা কেজি দরে।
অথচ মাত্র চার/পাঁচ দিন আগে বাজারভেদে প্রতিকেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা, নাজিরশাইল ৫০ থেকে ৫২ টাকা, আটাশ ৩৪ টাকা থেকে ৩৫ টাকা, ঊনত্রিশ ৩২ থেকে ৩৫ টাকা, স্বর্ণা চাল ২৮ থেকে ৩০ টাকা, চিনিগুড়া ৯০ থেকে ৯২ টাকা কেজি দরে।
হঠাৎ চালের দর বাড়া নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে মিশ্র-প্রতিক্রিয়া। ক্রেতারা বলছেন, সরকারিভাবে বাজার তদারকি না করার কারণে পেঁয়াজের মতোই দাম বাড়ছে চালের।
আবু মুরসালিন নামে কারওয়ান বাজারের এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, ব্যবসায়ীরা তো এখন দেশটাকে মগের মুল্লুক মনে করছেন। ইচ্ছে হলে পেঁয়াজের দর বাড়াচ্ছে, সবজির বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন, এখন চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এভাবে চলতে পারে না। দেশে ধানের সংকট নেই, বাজারে চালের অভাব নেই এর মধ্যে চালের দাম বাড়ানোর কোনো কারণ থাকতে পারে না।
চালের দর বাড়ার বিষয়ে বিক্রেতারা দুষছেন মিল মালিকদের। তাদের মতে, মিল মালিকরা দাম বাড়িয়েছেন বলেই বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে কারওয়ান বাজারের পাইকার চালবিক্রেতা আবু রায়হান বাংলানিউজকে বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই মিল মালিকরা চালের দাম বাড়িয়েছেন। সেখান থেকে আমাদের বাড়তি দামে চাল কিনে বিক্রি করতে হচ্ছে। তাই চালের দাম বাড়ার পেছনে বিক্রেতাদের কোনো হাত নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
ইএআর/এএটি