মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পেঁয়াজের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি একথা জানান।
এসময় বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিনসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কার্গোতে পেঁয়াজ আনতে এতোদিন লাগলো কেন- সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রাতারাতি কিছু করা যায় না। যে কোনো নতুন বাজার থেকে দ্রুত আনা যায় না। মিশর থেকে আমাদের দেশে জাহাজে আসতে ২০/২২ দিন লেগে যায়। তাই তাড়াহুড়া করে আনা যায় না। সাতদিনের মতো লাগে প্লেনে করে। সেখানে কার্গো বুক করতেও ৩-৪ দিন লেগে যায়। এসব কারণেই দেরি হয়েছে।
‘আমাদের কাছে হিসাব আছে প্রতিবছর ৬-৭ লাখটন পেঁয়াজ ঘাটতি থাকে৷ আর আমদানি হয় ৮-৯ লাখ টন। এবার আমাদের যে সংকট দেখা দিল সেটা পেঁয়াজ ওঠানোর আগে। আর সে সময় ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। সেখানেও ১০০ রুপিতে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। আর মিয়ানমারে ১৬০ টাকা। ফলে সেখান থেকে পেঁয়াজ আনা যাচ্ছে না। আমাদের নির্ভরতার জায়গা মিশর ও তুরস্ক। এসব দেশ থেকে যে পেঁয়াজ আনা হবে তা দিয়ে দেশের পেঁয়াজ ঘাটতির ৫০ শতাংশ পূরণ করা যাবে।
পেঁয়াজের ঘাটতি কমাতে সরকার কি কোনো উদ্যোগ নিয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের বছরে ৬/৭ লাখ টন ঘাটতি থাকে সেটা মেটাতে আগামী বছর থেকে কৃষকদের পেঁয়াজ উৎপাদনে উন্নত জাত, প্রণোদনা ও স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার চিন্তা করছে সরকার। যাতে দেশে উৎপাদন বাড়িয়ে পরনির্ভরতা কমানো যায়।
একই সঙ্গে কৃষকের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে উৎপাদন ও ওঠানোর মৌসুমে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখা হবে। ফলে আশা করছি এ উদ্যোগ নিতে পারলে আগামী ৩/৪ বছরের মধ্যে পেঁয়াজের ঘাটতি মিটে যাবে। একই সঙ্গে পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য সরকার নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
জিসিজি/এএ